Breaking News
Home / বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি / সেলফি আসক্তিতে যেভাবে শারীরিক অসুস্থতা বাড়ে

সেলফি আসক্তিতে যেভাবে শারীরিক অসুস্থতা বাড়ে

সেলফি তুলে সোশাল মিডিয়ায় যারা নিজেদের ছবি পোস্ট করতে অভ্যস্ত, নিজের অজান্তেই তাদের মনে জন্ম নেয় চেহারা নিয়ে সচেতনতা। ছবিতে নিজেকে ‘সুন্দর’ দেখানোর প্রতিযোগিতা, লাইক কিংবা কমেন্টসের ক্ষুধা তাদের অভ্যস্ত করে তোলে ভুল ডায়েট ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে। যে কারণে প্রয়োজনীয় খনিজ লবণ, পুষ্টিগুণ কিছুই পায় না শরীর। ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গের স্কুল অব মেডিসিনের গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে।

দুই ধরনের মানুষকে নিয়ে এই গবেষণা চালানো হয়। দেখা যায়, যারা নিয়মিত সোশাল মিডিয়ায় নিজেদের ছবি পোস্ট করেন ও তার প্রতিক্রিয়া দেখতে উদগ্রীব হন, তারাই সব চেয়ে ভুল ডায়েটে থাকেন এবং অন্যদের চেয়ে ২.৬ গুণ শারীরিক ক্ষতির শিকার হন।

এমনই এক সমীক্ষা চালান লস অ্যাঞ্জেলসে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফর্নিয়ার ব্রেন ম্যাপিং সেন্টার। তাদের পরীক্ষায় দেখা যায়, এই স্বভাবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে বয়ঃসন্ধির কিশোর-কিশোরীরা। সোশাল মিডিয়ায় নিজেদের ছবি পোস্ট করার সময় এবং এর প্রতিক্রিয়া কেমন হলো- তা দেখার যে মানসিকতা; তাতে মস্তিষ্কের থ্যালামাস ও হাইপোথ্যালামাসকে উত্তেজিত করে। ডোপামিন জাতীয় নানা নিউরো ট্রান্সমিটারের রাসায়নিক ক্রিয়ার ফলে ব্রেন রিওয়ার্ড সেন্টার উদ্দীপ্ত হয়। সোশাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত সক্রিয়তা এই রাসায়নিক বিক্রিয়াকে বাড়িয়ে দেয়। যা আবেগতাড়িতভাবেও ক্ষতি করে মানুষের।

সমীক্ষা বলছে, যারা যত বেশি সোশাল মিডিয়ায় আসক্ত; তাদের দুর্বলতা, হতাশাটাও বেশি থাকে।

মনোবিদ জয়রঞ্জন রামের মতে, প্রতিদিন এমন অনেক রোগী আসেন, যাদের হতাশার মূল কারণ এই সোশাল মিডিয়া। তার মতে, এমনিতেই সোশাল মিডিয়ায় কেউ পুঁইডাটার চচ্চড়ি খাওয়ার বা বাড়ির পাশের খালের ধার ধরে হাঁটার ছবি সচরাচর দেন না। সবাই দেখাতে চান ‘আমি কত ভালো আছি’। আর আমার চেয়ে অন্যরা বেশি ভালো আছে, বেশি রোগা দেখাচ্ছে তাদের—এমন ভাবনা প্রবণতা এমনিতেই মানুষের যথেষ্ট। তার মধ্যে সোশাল মিডিয়ায় চটজলদি ফলাফল দেখলে মনে মনে সে আরো বিখ্যাত ভাবে নিজেকে। এই ভাবনা থেকেই ভুল ডায়েট, অস্বাস্থ্যকর খাবারে অভ্যস্ত হচ্ছেন তারা। দেখা যাচ্ছে, যে মানুষ যত বেশি সোশাল মিডিয়ায় আসক্ত; তার দুর্বলতা, হতাশা ইত্যাদি তত বেশি। এমনকি, অন্য বন্ধুরা দূরে বেড়াতে গেলে কেন আমাকে বাড়ির কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা নিয়েও চলছে মা-বাবার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা। বলা যায়, সোশাল মিডিয়া পরিবারেও বয়ে আনছে নানান সমস্যা।

আরও পঠিত খবর

ফেসবুকে ফলোয়ার/বন্ধু বেশি হলেই অ্যাকাউন্ট যাচাই হবে এখন থেকে

ফেক অ্যাকাউন্টের বিভ্রান্তি রোধে কড়াকড়ি হচ্ছে ফেসবুক। এ লক্ষেই যুক্তরাষ্ট্রে যাদের ফলোয়ার সংখ্যা বেশি তাদের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *