‘ও ভালোভাবেই এগোচ্ছে। অবশ্যই যে জায়গাটায় থাকা উচিত, এখনও সেখানে যেতে পারেনি। আমার মনে হয়, এই সফরটি মুস্তাফিজের জন্য খুব ভালো হতে পারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে সে ভালো করেছে। ইনজুরিগুলো যদি দূরে থাকে, সে কেবল আরও ভালোই হবে। কারণ সে স্পেশাল প্রতিভা, তার স্কিলও স্পেশাল।’
এশিয়া কাপকে সামনে রেখে শনিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শিষ্যকে নিয়ে এভাবেই আশার কথাগুলো শোনাচ্ছিলেন টাইগারদের বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ।
২০১৫ সালে বিশ্ব ক্রিকেটকে জানান দিয়ে মুস্তাফিজের আবির্ভাব হলেও বারবার ইনজুরি তার বোলিংয়ের ধার কমিয়ে দেয়। সেখান থেকেও নিজেকে ফিরে পাওয়ার চেষ্টা অক্লান্ত এই কাটার মাস্টার।
তবে ওয়ালশ সাংবাদিকদের এটুকুও বুঝিয়ে দিলেন- মুস্তাফিজ চেনা ছন্দে থাকা মানে যে সেটি প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের জন্য কতটা আতঙ্কের। এশিয়া কাপেই ফিজ ফিরবেন স্বরূপে- এমনটিও আশা করছেন ওয়ালশ।
তিনি বলেন, ‘ফিট মুস্তাফিজকে পাওয়া মানে বোলিং আক্রমণে বাড়তি ধার। সে জানে তাকে কি করতে হবে। ওয়ার্কলোড সামলানো নিয়ে খুব ভাবনার কিছু নই। ভালোই বোলিং করছে সে। আমি চাইব ওর সঙ্গে স্কিল বাড়ানো নিয়ে আরেকটু কাজ করতে।’
ফিজের ইনজুরি প্রসঙ্গে ওয়ালশ বলেন, ‘ইনজুরির কারণে সেই কাজ করার সুযোগ পুরোপুরি পাইনি। আশা করছি, এশিয়া কাপের সময়টায় কিছু কাজ করতে পারব। ওয়ার্কলোডের কথা বললে, সে এমন একজন যে জানে তাকে কি করতে হবে। স্রেফ সে ফিট থাকলেই হয়।’
তবে দুবাইয়ে পা রাখার পর প্রথম দু-তিনটি দিন মুস্তাফিজ সহ গোটা দলের জন্যই যে চ্যালেঞ্জিং হবে সেটিও স্মরণ করিয়ে দিলেন ওয়ালশ। যদিও তিনি এটি বলেছেন- বাংলাদেশ ও দুবাইয়ের কন্ডিশনগত তেমন পার্থক্য হওয়ার কথা না।