মিশরের প্রথমবারের মতো নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসিকে পদচ্যুত করার প্রতিবাদে রাজধানী কায়রোতে বিক্ষোভ চলাকালে সহিংসতা ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে প্রায় সাতশ জনের সাজার রায় দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।
রায়ে মুসলিম ব্রাদারহুডের একজন জ্যেষ্ঠ নেতাসহ দলটির ৭৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কারাদণ্ডের সাজা পেয়েছন প্রায় ছয়শ জন।
এদিকে, মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে এ রায়কে বিচারের নামে প্রহসন আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
২০১৩ সালের ওই ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে শত শত বিক্ষোভকারী প্রাণ হারালেও শনিবার দেওয়া আদালতের রায়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কোনও সদস্যের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষিত হয়নি।
ঘোষিত এই রায়ের নিন্দা জানিয়ে অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর কোনও সদস্যের সাজা না হওয়ায় প্রমাণিত হয় যে এটা ছিল বিচারের নামে প্রহসন।
২০১২ সালের ৩০ জুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে মুহাম্মদ মুসসি দায়িত্ব গ্রহণের এক বছরের মাথায় ২০১৩ সালের ৩ জুলাই সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। সেনাপ্রধান জেনারেল সিসির ক্ষমতা দখলের পক্ষে সমর্থন ছিল ইসরাইল, সৌদি আরব ও আরব আমিরাতের।
সেসময় মুরসির সমর্থকরা প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে এসেছিলে। তখন তাদের ওপর চড়াও হয়েছিল সরকারি বাহিনী। নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ব্রাদারহুডকে। আর মুরসির ঠিকানা হয়েছিল কারাগারে। সাজাপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে হত্যার মতো অভিযোগ ছাড়াও সহিংসতা ছাড়াবার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
সরকার দাবি করেছিল, বিক্ষোভকারীদের অনেকের কাছে ছিল অস্ত্র এবং তারা নিরাপত্তা বাহিনীর আট সদস্যকে হত্যা করেছে। যদিও প্রথমে সরকার নিরাপত্তা বাহিনীর ৪০ জন সদস্যের নিহত হওয়ার দাবি করেছিল।