তিন ম্যাচ সিরিজের তিনটিতেই জিতে সফররত জিম্বাবুয়েকে হোয়াইট ওয়াশ করলো বাংলাদেশ। তৃতীয় ওয়ানডেতে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আগের দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছিল টাইগাররা। শুক্রবারের (২৬ অক্টোবর) ম্যাচে জিতে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইট ওয়াশ করলো তারা।
তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের দেয়া ২৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই আউট হন লিটন দাস। প্রথম বলে উইকেট হারিয়ে মনোবল ভেঙে যাওয়ারই কথা টাইগারদের। কিন্তু না, লিটন দাস হারালেও দুর্দান্ত খেলে ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার বাংলাদেশকে পৌঁছে দিয়েছেন জয়ের বন্দরে। দুই মারকুটে ব্যাটসম্যানই সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন।
ইমরুল কায়েস তার সহযাত্রী লিটন দাসকে হারিয়ে মোটেই বিচলিত না হয়ে সাহসের সাথে ব্যাট চালিয়ে গেছেন। এর ফলও পেয়েছেন তিনি। দশটি চার ও দু’টি ছক্কার হাঁকিয়ে তিনি করেছেন ১১৫ রান। তার মারকুটে মনোভাবই বাংলাদেশকে জয়ের ভিত্তি এনে দিয়েছে।
অন্যদিকে বহুদিন পর জাতীয় দলে ডাক পাওয়া সৌম্য সরকার তার জাত চিনিয়েছেন। নয় চার ও ছয় ছক্কার সমন্বয়ে তিনি করেছেন ১১৭ রান। বিশাল এ রান সংগ্রহ করে তিনি ক্যাচ তুলে আউট হয়ে যান। আউট হয়ে বের হওয়ার সময় করতালিতে মুখরিত হয়ে যায় পুরো স্টেডিয়াম। বাঘের মতো লড়াইয়েরই সম্মান দিয়েছে দর্শকরা।
সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েস আউট হয়ে যাওয়ার পা জিততে বাকি ছিল এক রকম আনুষ্ঠানিকতার। আর এই কাজটি নিপুন হাতে করেন মুশফিকুর রহীম। তিনি ২৮ রান করে দলকে জয়ের আনন্দে ভাসান। মুশফিককে সঙ্গ দেয়া মোহাম্মদ মিঠুন করেন সাত রান।
এর আগে, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ব্যাটিংয়ে নেমে জিম্বাবুয়ে ভালো শুরু করতে পারেনি। সাইফুদ্দিন ও আবু হায়দার রনির বলে তিন অভারের মধ্যেই দুই অপেনারকে হারায় জিম্বাবুয়ে।
শুরুতেই দুই উইকেট হারানো জিম্বাবুয়েকে টেনে তুলেন ব্রেন্ডন টেলর। ব্যক্তিগত ৭৫ রানে আউট হন তিনি। অন্যদিকে টেলরকে সঙ্গ দেয়া উইলিয়ামস টেলর ফিরে যাওয়ার পর আরও অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেন। তিনি অপরাজিত ১২৯ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে বড় রান সংগ্রহে ভূমিকা রাখেন।
বাংলাদেশের পক্ষে নাজমুল ইসলাম অপু ২টি এবং আবু হায়দার রনি ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন নেন ১টি করে উইকেট।