হজ্ব এজেন্সিগুলোর অবহেলা আর অনাগ্রহের কারণে এ বছর ৬০৬ জন হজ্বে যেতে পারলেন না। এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২১ হাজার ৮ শত ৬৮ জন হজ্বযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। বাকিরা ১৭ই আগস্টের মধ্যে সৌদি পৌঁছাবেন। গুরুতর অসুস্থ, মৃত্যু এজেন্সিদের অনাগ্রহের কারণে ৬০৬ জন ভিসার আবেদন করেননি। শেষ পর্যন্ত ১০ হাজার ৯ শত ৪২ জন রিপ্লেসমেন্ট আবেদনের বিপরীতে ১০ হাজার ৭ শত ৭৪ জনকে দেয়া হয়েছে।
ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর আশকোনায় হজ্ব ক্যাম্পে শেষ হজ্ব ফ্লাইট উপলক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন। ধর্মমন্ত্রী আরো বলেন, কিছু এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে, ফিরে এসে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আগামী ২০ শে আগস্ট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পবিত্র হজ্ব। সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট হজ্বযাত্রীর সংখ্যা ১ লাখ ২৬ হাজার ৭ শত ৯৮ জন। সৌদি আরব থেকে হজ্বযাত্রীদের নিয়ে প্রথম ফ্লাইট দেশে আসবে ২৭শে আগস্ট এবং তা চলবে ২৫শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
এদিকে হজ্ব এজেন্সিগুলোর মালিকদের সংগঠন- হাবের মহাসচিব শাহাদাত হোসেন তসলিম বলেন, এ বছর যে ৬০৬ জন হজ্বে যেতে পারেনি তারা স্বেচ্ছায় ভিসা করতে দেননি। অতীতের যেকোনো বছরের তুলনায় চলতি বছর হজ্ব যাত্রা বাতিলের সংখ্যা কমেছে। গত বছর ১৩ শ’ হজ্বযাত্রীর যাত্রা বাতিল হলেও এবার মাত্র ৬০৬ জন হজ্বে যেতে পারেনি। আর যারা যেতে পারেননি তারা মূলত স্বেচ্ছায় ভিসা করতে দেননি। ভিসা করা সব হজ্বযাত্রী এবারই প্রথম হজ্ব পালনে যাচ্ছেন।
আগামীতে হজ্বযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নিরলসভাবে কাজ করবে জানিয়ে সংগঠনটির মহাসচিব বলেন, কতিপয় এজেন্সির প্রতারণা কারণে যে ৬০৬ জন এ বছর ভিসা করতে পারেননি এবং হজ্বে যেতে পারলেন না হাব তাদের পাশে থাকবে। এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। আল্লাহর মেহমানদের সঙ্গে প্রতারণা করা কোনো এজেন্সিকে ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, এ বছর হজ্ব যাত্রা সুষ্ঠু বা নির্বিঘœ করতে আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। গণমাধ্যম কর্মীরা আমাদের পাশে ছিলেন। বস্তুনিষ্ঠ রিপোর্টিংয়ের কারণে হজ্ব এজেন্সিগুলোর প্রতারণা অনেকাংশে কমেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।