সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালের দাবিতে শাহবাগ অবরোধকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) রাতে তারা শাহবাগে আসেন। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দোলনকারীদের শাহবাগ থেকে সরে গিয়ে জাদুঘরের সামনে আন্দোলন করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘যতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশে শেখ হাসিনা আছেন এবং আমরা মুক্তিযোদ্ধারা আছি, ততদিন পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে আন্দোলন করতে হবে না।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের যে দাবি সেটি অবশ্যই যৌক্তিক দাবি। আমরা যুদ্ধ করেছি। আমাদের সন্তানরা দাবি আদায়ের জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকবে এটা কাম্য নয়। আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা মাথা উঁচু করে রাস্তায় চলবো।’
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘শুক্রবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা দিতে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক এই এলাকায় আসবেন। আন্দোলনের কারণে যানজটের সৃষ্টি হবে ফলে তারা সময়মতো পরীক্ষার হলে আসতে পারবেন না। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা সরকারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। এর জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের যাতে কোনো বাধা সৃষ্টি না হয় সে জন্য আন্দোলন স্থগিত করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এ সময় ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘আপনারা জানেন এটা নির্বাচনের বছর। একটা স্বার্থান্বেষী মহল নানাভাবে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করবে। ভর্তি পরীক্ষা যাতে সূষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারে সে জন্য আপনাদের সহযোগিতা দরকার। আপনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এখানে অনুরোধ করে নিয়ে এসেছি।’
পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-ডিএমপি কমিশনারের অনুরোধের প্রেক্ষিতে মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের মুখপাত্র আ ক ম অধ্যাপক জামাল উদ্দিন শুক্রবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে আমরা পরীক্ষা চলাকালীন আন্দোলন স্থগিত করছি। একই সঙ্গে আমরা বলতে চাই, মন্ত্রিপরিষদ সচিব কোটা বাতিলের জন্য যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমরা তার ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। তার পদত্যাগও দাবি করছি।’