শান্তিতে বিশেষ অবদান রাখায় এবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন কঙ্গোর ড. ডেনিশ মুকওওয়েগে ও ইরাকের নাদিয়া মুরাদ। শুক্রবার (৫ অক্টোবর) নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি এ পুরস্কার ঘোষণা করে। খবর নিউয়র্ক টাইমসের।
ড. ডেনিস মুকওয়েগে একজন গাইনী সার্জন। তিনি যুদ্ধকালীন সময়ে নারীদেরকে যৌন সহিংসতা থেকে রক্ষার জন্য কাজ করেছেন। অন্যদিকে, নাদিয়া মুরাদ ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর বিরুদ্ধে নারী দাসত্বের বিরুদ্বে কাজ করেছেন।
নোবেল কমিটি তাদের সম্পর্কে বলেছে ‘যুদ্ধে নারীদেরকে যুস্ত্রাত্রের মত ব্যবহার করে যে যৌন সহিংসতা হতো তা রোধে এ দুই জনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’
গণধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে গিয়ে ডেনিশ মুকওওয়েগের জীবনে হুমকীর মুখেও পড়েছিল। কঙ্গোর যুদ্ধকালীন সময়ে তিনি গণধর্ষণের শিকার হওয়া অসংখ্য রোগী পেয়েছেন। তার হাসপাতালে বিদ্যুৎ ও প্রয়োজনীয় ঔষধের অভাব সত্ত্বেও তিনি নিরলসভাবে চিকিৎসা চালিয়ে গেছেন। একই সাথে ড. ডেনিশ মুকওওয়েগে ধর্ষণ বিরোধী প্রচারণাও চালিয়ে গেছেন।
অন্যদিকে, নাদিয়া মুরাদ উত্তর ইরাকে আইএস অধ্যুষিত অঞ্চলে সংখ্যালঘু ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের নারীদেরকে আইএস-এর হাত থেকে রক্ষায় কাজ করেছেন। তিনি এ অঞ্চলের নারী নির্যাতনের কথা সারাবিশ্বে তুলে ধরেছেন। জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিল ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন প্রভৃতি দেশের সরকারকে আলাদাভাবে অবহিত করেছেন। ২০১৬ সালে জাতিসংঘ তাকে ‘গুডউইল অ্যাম্বাসেডর’ হিসেবে নিয়োগ প্রদান করে।