আজ বাংলাদেশ ক্রিকেটের আইকন ও সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার জন্মদিন। ৩৫ বছর পেরিয়ে ৩৬ বছরে পদার্পণ করলেন তিনি। নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত মাশরাফি বিন মর্তুজা ১৯৮৩ সালের ৫ অক্টোবর নড়াইল শহরের মহিষখোলায় মায়ের কোল আলোকিত করে পৃথিবীতে এসেছিলেন। তার বাবার নাম গোলাম মর্তুজা স্বপন। মায়ের নাম হামিদা মর্তুজা বলাকা। দুই ভাইয়ের মধ্যে মাশরাফি বড়।
বাংলার ক্রিকেট আকাশের সম্ভবত সবচেয়ে বড় তারাটি ১৭ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে কম ধকল সহ্য করেননি। যার সবচেয়ে বড় পরীক্ষাটা দিয়েছেন নিজের সাথে নিজেই।
মাশরাফি নামে পরিচিত নড়াইলের সেই দুরন্ত কিশোরটি ছোটবেলা থেকে কৌশিক নামেই এলাকার সবার কাছে পরিচিত ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি অদ্ভুত এক ভালোবাসা কাজ করতো। সারাক্ষণ মেতে থাকতেন বন্ধুদের নিয়ে।
স্কুল ফাঁকি দিয়ে চলে যেতেন ক্রিকেট খেলতে। বাকি সময়টা চলতো ব্যাডমিন্টন আর চিত্রা নদীতে সাঁতার কেটে। এভাবেই একদিন সুযোগ পেয়ে গেলেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলে। সেখান থেকেই তিনি চোখে পড়েন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং কোচ অ্যান্ডি রবার্টসের। তার হাতে পড়েই ক্যারিয়ার বদলে যায় মাশরাফির। যে কারণে, তিনিই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি প্রথম শ্রেণির কোনো ম্যাচ না খেলেই টেস্টে অভিষিক্ত হন।
ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ২০০১ সালের ৮ নভেম্বর শুরু হওয়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেকেই নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। একই বছর ২৩ নভেম্বর ওয়ানডে ক্রিকেটে মাশরাফির অভিষেক হয় ফাহিম মুনতাসির ও তুষার ইমরানের সঙ্গে। অভিষেক ম্যাচে মোহাম্মদ শরীফের সঙ্গে বোলিং ওপেন করে তিনি ৮.২ ওভারে ২৬ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। ওয়ানডে ও টেস্ট ক্রিকেটে দুই ফরম্যাটেই গ্রান্ট ফ্লাওয়ার ছিলেন মাশরাফির প্রথম শিকার! সেই যে শুরু পথচলা, এরপর নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ১৭টি বছর পার করে ফেলেছেন ক্যারিয়ারের।
বাংলাদেশের ক্রিকেটকে অনন্য এক উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার পেছনের কারিগর যেন এই মাশরাফি। তাই তো পেয়েছেন কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসাও। শত বছর বেঁচে থাকুক মাশরাফি। হাজারো তরুণ ক্রিকেটারের অনুপ্রেরণা হয়ে। হাজারো ক্রিকেট ভক্তের ভালোবাসা নিয়ে।