Breaking News
Home / আন্তর্জাতিক / রাখাইনে কারফিউর মেয়াদ বাড়লো, সতর্কাবস্থায় সরকারি বাহিনী
রাখাইনে কারফিউর মেয়াদ বাড়লো
রাখাইনে কারফিউর মেয়াদ বাড়লো

রাখাইনে কারফিউর মেয়াদ বাড়লো, সতর্কাবস্থায় সরকারি বাহিনী

মিয়ানমারের উত্তর রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। গত বছর নিরাপত্তা পোস্টে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) হামলার এক বছর পূর্তি হওয়ার কয়েক দিন আগ থেকেই এই সতর্কাবস্থা নিয়েছে সরকারি বাহিনী। একই সঙ্গে রাখাইন রাজ্যের মংডু, বুথিডাউং শহরে সান্ধ্যাকালীন কারফিউর মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়ানো হয়েছে।

স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মিয়ানমার টাইমস এ খবর জানিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট আরসা’র হামলার পর থেকেই মধ্যরাতে কারফিউ জারি রয়েছে রাখাইনের এই দুই শহরে। মংডু ও বুথিডাউং জেলার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ইউ কিয়াউ উইন হটেট সোমবার জানান, কারফিউর নতুন মেয়াদ দুই মাস বাড়িয়ে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল রাখা হয়েছে। রাত দশটায় শুরু হয়ে কারফিউ জারি থাকবে ভোর ৫টা পর্যন্ত। এই কর্মকর্তা জানান, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য কারফিউর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ওই অঞ্চলে এখনও অনেক বিষয়ে অগ্রগতি প্রয়োজন। তিনি বলেন, কারফিউয়ের সময়ে পাঁচজনের বেশি মানুষ একত্র হতে পারবেন না এবং বাইরে বের হতে পারবেন না।

এই কারফিউর ফলে স্থানীয় বৌদ্ধ ও মুসলিমরা রাত দশটা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বাইরে বের হতে পারবেন না এবং উন্মুক্ত স্থান বা মসজিদে পাঁচজনের বেশি জড়ো হতে পারবেন না। মংডুর প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইউ মুইন্ট খাইন জানান, নিরাপত্তা পরিস্থিতি জোরদার করা হয়েছে এবং কারফিউর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। কারণ, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টে চালানো আরসার হামলার এক বছর সামনে। তিনি বলেন, আমরা উপসংহারে পৌঁছেছি কারফিউর মেয়াদ বাড়ানো এবং আইন অনুসারে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। মংডুর স্থানীয় মুসলিমরা জানিয়েছেন, এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে।

২৫ আগস্টকে সামনে রেখে স্থানীয়দের মধ্যেও বড় ধরনের উদ্বেগ রয়েছে। সোমবার স্থানীয় মুসলিম ইউ আরশুট বলেন, আমরা উদ্বিগ্ন হয়তো আরসা আবারও হামলা চালাবে। আরশুট জানান, দিনের বেলা সবাই নির্বিঘেœ বাইরে যেতে পারছে কিন্তু সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সন্ত্রাসবিরোধী শুদ্ধি অভিযানের নামে শুরু হয় নিধনযজ্ঞ। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হতে থাকে ধারাবাহিকভাবে।

এমন বাস্তবতায় নিধনযজ্ঞের বলি হয়ে রাখাইন ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। আগে থেকে উপস্থিত রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় দশ লাখে। এসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশের বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে বসবাস করছে।

আরও পঠিত খবর

চীনে ৫ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প

চীনের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ জিনজিয়াংয়ের উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের জিনঘি কাউন্টিতে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *