মামলা পরিচালনার সুবিধার্থে দেশের প্রতিটি জেলখানায় একটা করে কোর্টরুম করার নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নির্দেশনা দেন। সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রীর কয়েকটি নির্দেশনা তুলে ধরে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘যেহেতু আমরা এখন ডিজিটাল যুগ, সেজন্য মামলা পরিচালনার সুবিধার্থে দেশের প্রতিটি জেলখানায় একটা করে কোর্টরুম করার নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। কারণ অনেক ক্ষেত্রে কারগার থেকে কিছু কিছু আসামিকে কোর্টের সামনে হাজির করতে হয়। মামলা চলাকালিন সময় কিছুটা হলেও ফিজিকালি হাইকোর্টে না এনে কিছুটা হলেও জেলখানায় একটা কোর্টরুম থাকলে সেখানে মামলা পরিচালনা করা যাবে। এ্যাডভোকেট যারা আছেন তারা যাবেন (কোর্টরুমে)।’
‘সরাসরি ঢাকা থেকে হাইকোর্ট থেকে মামলাগুলো যেন পরিচালনা করা যায় সেজন্য আলাদাভাবে জেলা অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট প্রকল্প নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী’- যোগ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘‘সভায় ৬২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার পুনঃনির্মাণ’ প্রকল্প অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রতিটি জেলখানায় একটি করে কোর্টরুম রাখতে হবে। আসামিদের ফিজিক্যালি কোর্টে না এনে যাতে এখানে মামলা পরিচালনা করা যায়।’’
তিনি বলেন, ‘আজকের একনেকে মোট ২১টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়নে ব্যয় ১ হাজার ৪৪৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শীতকালে অতিথি পাখি দেখতে গেলে দর্শনার্থীদের জন্য টিকিটের ব্যবস্থা করতে হবে। সেখানে যাওয়ার জন্য দর্শনার্থীদের আলাদা গেট করতে হবে। এটা করতে পারলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় বাড়বে। বিদেশে কিন্তু এমন পদ্ধতি আছে।’