মার্কিন নাগরিকত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে মাইগ্রেশনের সুযোগ নিয়ে কট্টর সমালোচনা করেছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কিন্তু সেই চেইন মাইগ্রেশনের সুযোগ কাজে লাগিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হয়েছেন তার শ্বশুর-শাশুড়ি, বিবিসি জানিয়েছে, স্লোভেনিয়ায় জন্ম নেয়া ভিক্টর ও আমালিজ নাভস বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন নাগরিকত্ব নিয়েছেন। তাদের আইনজীবী মাইকেল ওয়াইল্ডস এ নিশ্চিত তথ্য করে বলেছেন, নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে ব্যক্তিগত এক আয়োজনের মাধ্যমে এ দম্পতি নাগরিকত্বের শপথ নেন।
মেয়ে মেলানিয়ার সৌজন্যে পাওয়া গ্রিনকার্ড দিয়ে ভিক্টর ও আমালিজা এতদিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন। দেশটির অভিবাসন আইন অনুযায়ী তাদের পাঁচ বছর গ্রিনকার্ড ব্যবহারের পর নাগরিকত্বের আবেদন করার কথা ছিল। নিউইয়র্কে বসবাসরত আবেদনকারীদের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় নাগরিক হতে গড়ে ১১-২১ মাস সময় লাগে বলে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ও অভিবাসন বিভাগের ওয়েবসাইটেও উল্লেখ করা হয়েছে।
ভিক্টর ও আমালিজা পাঁচ বছর গ্রিনকার্ড ব্যবহারের শর্ত পূরণ করেছেন বলে দাবি করলেও এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য দিতে অস্বীকার করেছেন ওয়াইল্ডস। স্লোভেনিয়ার সেভনিকা শহরের গাড়ির বিক্রয়কর্মী ভিক্টর ও টেক্সটাইল কারখানায় কাজ করা আমালিজার মেয়ে মেলানিয়া ২০০১ সালে ফ্যাশন মডেল হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। বিশেষভাবে দক্ষদের জন্য নির্ধারিত আইনস্টাইন ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে ক্যারিয়ার গড়ে ২০০৬ সালে নেন দেশটির নাগরিকত্ব। আনুষ্ঠানিকভাবে নাগরিক হওয়ার আগেই তখনকার রিয়েল এস্টেট মুঘল ট্রাম্পকে বিয়ে করেন মেলানিয়া। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থীর জয়ের পর পান ফার্স্টলেডি খেতাব।
ওভাল অফিসের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে চেইন মাইগ্রেশন বন্ধে জনমত গড়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প। এ প্রক্রিয়ায় কোনো মার্কিন নাগরিক তার পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস ও দ্রুত নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদনের সুযোগ করে দিতে পারে। ট্রাম্প এ প্রক্রিয়াকে অভিবাসনের ক্ষেত্রে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট আইন হিসেবেও অভিহিত করেছিলেন।