অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে পারে। নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ২০ দিনের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে।’
বুধবার (০৫ সেপ্টেম্বর) সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলররা সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মুহিত।
নির্বাচন প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে মনে হয়েছে আগামী ২৭ ডিসেম্বর তারা (নির্বাচন কমিশন) জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ভাবছে। এজন্য সরকারও প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কেমন হবে- জানতে চাইলে মুহিত বলেন, ‘অন্তর্বতীকালীন সরকার হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মডেল অনুযায়ী। প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান করে স্বল্পসংখ্যক মন্ত্রী নিয়ে এ সরকার গঠিত হবে। সংসদ থাকবে আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।’
অন্তর্বর্তী সরকারে বিএনপি বা সুশীল সমাজের প্রতিনিধি থাকবে কি না কিংবা কারা থাকতে পারে- এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি বা সুশীল সমাজের প্রতিনিধি কারোরই নির্বাচনকালীন সরকারে থাকার সুযোগ নেই। সংবিধান অনুযায়ী ওই সরকারের প্রতিনিধি হবেন সংসদ সদস্যরা। ফলে যিনি সংসদ সদস্য নন তিনি সরকারে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন না।’
তিনি বলেন, ‘ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ছাড়া জাতীয় নির্বাচন কখনোই পুরোপুরি সুষ্ঠু করা সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশনে অনেক সংস্কার হয়েছে। এবার নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।’
জাতীয় নির্বাচন বিএনপি অংশ নেবে- এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে মুহিত বলেন, ‘আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে। আশা করছি বিএনপিও নির্বাচনে অংশ নেবে। কারণ তারা জানে, নির্বাচনে না এলে রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব তাদেরকে গ্রাস করবে। তারা অদৃশ্য হয়ে যাবে।’
অনুষ্ঠানে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ আগস্ট আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে অনুযায়ী নির্বাচনী সব প্রস্তুতিও কমিশন গ্রহণ করছে। জানুয়ারিতে স্কুল-কলেজ খোলা থাকে। নতুন বছর। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ক্ষতি হতে পারে। ডিসেম্বরের শেষ দিকে শিক্ষার্থীদের ছুটি থাকে। জাতীয় নির্বাচনের জন্য সে সময়টিই ভালো। ফলে জানুয়ারিতে নির্বাচনের কোনও সম্ভাবনা নেই।’