লিওনেল মেসির জোড়া গোল সহ সতীর্থদের আরো গোলে প্রথমবারের মতো লা লিগায় উঠে আসা সোসিয়েদাদ দেপোর্তিভা হুয়েস্কাকে উড়িয়ে দিল বার্সেলোনা।
ঘরের মাঠে রোববার স্থানীয় সময় বিকালে শুরু হওয়া ম্যাচটি ৮-২ গোলে জিতেছে এরনেস্তো ভালভেরদের দল।
পুরো কাম্প নউকে স্তব্ধ করে দিয়ে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় হুয়েস্কা। ডান দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো ক্রসে সামুয়েলে লঙ্গোর হেডের পর গোলমুখ থেকে টোকা দিয়ে বল জালে পাঠান কলম্বিয়ার ফরোয়ার্ড কুচো এরনান্দেস।
দ্রুত নিজেদের গুছিয়ে নেওয়া বার্সেলোনা পাল্টা জবাব দিতে একটুও দেরি করেনি। ষোড়শ মিনিটে ইভান রাকিতিচের পাস পেয়ে এক জনকে কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে আরেক জনকে কোনো সুযোগ না দিয়ে জোরালো শটে দলকে সমতায় ফেরান মেসি।
২৪তম মিনিটে জর্দি আলবার নিচু ক্রস ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালে ঠেলে দেন অতিথিদের স্প্যানিশ ডিফেন্ডার হোর্হে পুলিদো। আর ৩৯তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে আলবার বাড়ানো বল গোলমুখে পেয়ে অনায়াসে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন সুয়ারেস।
৪২তম মিনিটে ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে বল জালে পাঠিয়ে স্কোরলাইন ৩-২ করেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড আলেহান্দ্রো গাইয়ার।
প্রথমার্ধে বেশ লড়াইয়ের আভাস দেওয়া হুয়েস্কা বিরতির পর আর পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অল্প সময়ের মধ্যে আরও তিন বার জালে বল পাঠিয়ে সব অনিশ্চয়তার ইতি টেনে দেয় বার্সেলোনা।
৪৭তম মিনিটে মেসির একটি প্রচেষ্টা পোস্টে বাধা পায়। পরের মিনিটে সুয়ারেসের রক্ষণচেরা পাস ডি-বক্সে পেয়ে কোনাকুনি শটে ব্যবধান বাড়ান উসমান দেম্বেলে। গত সপ্তাহে রিয়াল ভাইয়াদলিদের বিপক্ষে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেছিলেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
৫২তম মিনিটে মেসির বাড়ানো বল ডান দিকে পেয়ে হাফ-ভলিতে দলের পঞ্চম গোলটি করেন ইভান রাকিতিচ। আর ৬১তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে দারুণ ক্ষিপ্রতায় ডি-বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন মেসি। চলতি লিগে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের এটা চতুর্থ গোল।
শেষ দিকে হ্যাটট্রিক পূরণের সুযোগ এসেছিল মেসির সামনে। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে একা ডি-বক্সে ঢুকে পড়া সুয়ারেসকে গোলরক্ষক ছুটে গিয়ে ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা। তবে স্পট কিক না নিয়ে সতীর্থকে ছেড়ে দেন অধিনায়ক। সফল স্পট কিকে নিজের দ্বিতীয় ও দলের অষ্টম গোলটি করেন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার।