দশম জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনে কওমী মাদারাসা সমূহের সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মার্স্টার্স ডিগ্রি সমমান দিয়ে বিল পাস করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণ-সংবর্ধণা দিবে আল-হাইআতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কাওমিয়া বাংলাদেশ।
আজ ১ অক্টোবর সোমবার হাটহাজারী মাদরাসায় অনুষ্ঠিত হাইয়াতুল উলইয়ার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাইয়াতুল উলইয়ার সদস্য মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া।
হাইয়াতুল উলইয়ার চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সভাপতিত্বে বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন কো-চেয়ারম্যান মাওলানা আশরাফ আলী, মাওলানা আবদুল হালীম বোখারী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মুফতী মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মুফতী ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতী আরশাদ রাহমানী, মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মাওলানা আবদুল বছির ও মাওলানা নূরুল ইসলাম প্রমুখ।
মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণ-সংবর্ধণা দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কবে দেয়া হবে সে বিষয় এখনও আলোচনা হয়নি। আশাকরি আবার বৈঠক করে গণ-সংবর্ধনার তারিখ জানানো হবে।
তিনি জানান, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, এর মধ্যে দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে, পরীক্ষা ২ শাবান ( ৮ এপ্রিল) সোমবার থেকে শুরু হয়ে ১২ শাবান (১৮ এপ্রিল) ‘১৮ ইং বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১১ এপ্রিল গণভবনে এক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ ক্লাস দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান ঘোষণা করেন।এরপর মাদরাসার পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৬ বোর্ড নিয়ে গঠিত হয় আল-হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কাওমিয়া বাংলাদেশ। সংস্থাটির অধীনে এরই মধ্যে ২ টি কেন্দ্রীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কওমী মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান সংক্রান্ত আইন গত ১৩ আগস্ট সোমবারের মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর বুধবার জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসরাম নাহিদ। স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের আগে জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।