সরকারি চাকরিতে প্রবেশে নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত অর্থাৎ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে কোটা পদ্ধতি না রাখার প্রস্তাব মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। বুধবার (৩ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এর ফলে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি থাকছে না।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে কোটা পর্যালোচনায় গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তাদের সুপারিশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠান।
গত ১৭ অক্টোবর কোটা পর্যালোচনা কমিটির প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠান। সেখানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আজ সেটি মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষিত কোটা ৫৬ শতাংশ। বাকি ৪৪ শতাংশ নেয়া হয় মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে। বিসিএসে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩০, জেলা কোটায় ১০, নারী কোটায় ১০ ও উপজাতি কোটায় ৫ শতাংশ চাকরি সংরক্ষণ করা আছে।
এই ৫৫ শতাংশ কোটায় পূরণযোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সেক্ষেত্রে ১ শতাংশ পদে প্রতিবন্ধীদের নিয়োগের বিধান রয়েছে।
এটিকে বৈষম্য দাবি করে চাকরি প্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে কোটা বাতিলের দাবি করে আসছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে টানা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেন ‘কোনো কোটাই থাকবে না’। সব নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে।