২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করা উচিত বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (১০ অক্টোবর) ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে এমন দাবি করেন জয়।
নিউজরিপোর্ট টুয়েন্টিফোর.কম পাঠকের জন্য তার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
“রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতাদের শাস্তি দিতে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে হয়েছে, বিচারে লেগেছে ৪২ বছর। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নৃশংস হামলায় আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যার বিচার পেতে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে হয়েছে, লেগেছে ৩৪ বছর। আজ ১৪ বছর পরে, আমার মা ও আইভি রহমানসহ আমার আরো অনেক কাছের মানুষদের হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার বিচার পেতে যাচ্ছি আমরা।
আমাদের সরকারের উচিত এখনই তারেক রহমানের নামে আবার নতুন করে ইন্টারপোলের রেড নোটিস জারি করা, এবার খুন ও সন্ত্রাসবাদের জন্য। তাকে ফেরত দিতে যুক্তরাজ্যকে অনুরোধ করাও উচিত আমাদের।
যুক্তরাজ্যের সাথে আমাদের কোন বহিঃসমর্পণ চুক্তি নেই। কিন্তু জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী অন্য কোন সদস্য দেশের অনুরোধে শাস্তিপ্রাপ্ত আসামিদের সমর্পণ করতে পারে। যুক্তরাজ্য সম্প্রতি চারজন সন্দেহভাজন আইএস সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে জেনেও যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিয়েছে।”
উল্লেখ্য, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে বুধবার (১০ অক্টোবর) রায় ঘোষণা করে ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এর আদালত। রায়ে মামলার অপর ১১ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির পক্ষ থেকে এ রায়কে ‘ফরমায়েশি’ আখ্যা দিয়ে রায় প্রত্যাখান করা হয়। তবে রায়ে আওয়ামী লীগ পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয় জানিয়ে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত ছিল। তাদের মৃত্যুদণ্ড চেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।’