মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘গোপনীয়তা নষ্ট হবার অজুহাতে আগে মানুষকে তথ্য দেয়া হতো না কিন্তু বর্তমানে তথ্য অধিকার আইনে কারণে মানুষের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত হয়েছে।’
শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে তথ্য কমিশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। তথ্য অধিকার এর পাশাপাশি জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। মানুষকে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে এই আইনের ব্যাপক প্রচার করতে হবে।’
প্রধান তথ্য কমিশনার মর্তুজা আহমেদ বলেন, ‘তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ প্রণয়ন বাংলাদেশের জন্য একটি যুগান্তকারী ঘটনা। আইনটির অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো দেশের প্রচলিত অন্য সকল আইনে কর্তৃপক্ষ জনগণের ওপর ক্ষমতা প্রয়োগ করে থাকে কিন্তু এ আইনে জনগণ কর্তৃপক্ষের ওপর ক্ষমতা আরোপ করে। এটি একটি সার্বজনীন আইন, যা শ্রেণিগত ভেদাভেদ নির্বিশেষে সর্বস্তরের নাগরিককে রাষ্ট্রের তথ্য পাওয়ার অধিকার দেয়।’
প্রধান তথ্য কমিশনার আর বলেন, ‘আইনটির মূল ভিত্তি সংবিধানের ৩৯ ধারা সংবিধান মতে জনগণ সকল ক্ষমতার মালিক জনগণের তথ্য অধিকার তথা তথ্যে অভিগম্যতা নিশ্চিত করা। একান্ত আবশ্যক সরকারি-বেসরকারি স্বায়ত্বশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং সরকারি ও বিদেশি অর্থায়নে বেসরকারি সংস্থ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে. দুর্নীতি হ্রাস পাবে ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, গণতন্ত্র সুসংহত হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে তথ্যের অধিকার ছাড়া সংবিধানে বর্ণিত নাগরিকের অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি চিন্তা ও বাকস্বাধীনতা ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা অকল্পনীয় তথ্য অধিকার তথ্য আদান প্রদানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আইনের শাসন মৌলিক মানবাধিকার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং সামাজিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব এই আইন প্রয়োগের মাধ্যমে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর সাথে তথ্য অধিকার আইন সাংঘর্ষিক নয় অন্য আইনের চেয়ে তথ্য অধিকার আইন প্রাধান্য পাবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন তথ্য কমিশনার নেপাল চন্দ্র, তথ্য সচিব আব্দুল মালেক প্রমুখ।