প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “ক্ষমতা নিয়ে তাঁর কোনো আকাঙ্ক্ষা নেই, দেশের মানুষের কল্যাণেই কাজ করে যাচ্ছি। দেশের মানুষের উন্নয়নটা এমনভাবে করব, যেটা আমার বাবা চেয়েছিলেন। সেটা যদি করতে পারি, তাহলে মনে হবে ওটাই হচ্ছে সবচেয়ে প্রতিশোধ নেওয়া যে, ওই খুনিরা বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে দিতে চায়নি।”
যুক্তরাষ্ট্র সফরে ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “দেশে নির্বাচনের সুন্দর পরিবেশ রয়েছে, মানুষ ভোট দিতে পারছে। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যে ইলেকশন হলো, সে ইলেকশনের যদি আপনি যাচাই-বাছাই করেন, যদি পরিস্থিতি দেখেন, তাহলে অবশ্যই আপনাকে স্বীকার করতেই হবে যে অবশ্যই বর্তমানে ইলেকশন করার মতো সুন্দর একটা পরিবেশ আছে এবং এই নির্বাচন কমিশন সেই ইলেকশন করতে পারবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে আপনি কী বোঝেন আমি জানি না, আপনি কী বলতে চাইছেন; তবে আমি মনে করি যে জনগণ যখন স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিচ্ছে, যেমন—কিছুদিন আগে তিনটা সিটি করপোরেশনের ইলেকশন হয়ে গেল, তিনটা সিটি করপোরেশনের দুটোতে আওয়ামী লীগ জিতেছে, একটা বিএনপি জিতেছে। তো এটা কি প্রমাণ করে না যে এখন ইলেকশন করবার মতো যথেষ্ট একটা সুন্দর পরিবেশ আছে?”
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সম্প্রতি অবৈধ অভিবাসীদের বাংলাদেশে পাঠানো নিয়ে কী ভাবছেন এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “এটা হয়তো তাদের নিজস্ব পলিটিকস, তারা বলছে। আমি তো মনে করি না, আমাদের কোনো অবৈধ বাংলাদেশি সেখানে আছে। আমাদের অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী, যথেষ্ট মজবুত; তারা সেখানে গিয়ে কেন অবৈধ হবে? তারা তাদেরই নাগরিক, তারা যদি কাউকে অবৈধ বলে বা কাউকে বৈধ বলে, এটা সম্পূর্ণ তাদের ব্যাপার। তবে বিষয়টা নিয়ে কিছুটা কথা বলেছি প্রাইম মিনিস্টারের সঙ্গে, আমার কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন এমন কোনো বা ফেরত পাঠানো এ ধরনের চিন্তা তাদের নেই।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও বাংলাদেশের সম্পর্ক ভালো। নিউইয়র্কে তাঁর হোটেলে দেখা করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও, কথা হয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও।
সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা আরও বলেন, “সরকারের সঠিক পরিকল্পনায় এগিয়ে চলছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে ঋণখেলাপির সংস্কৃতি শুরু করেছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমান।”