নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) অবশ্যই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী।
বুধবার (৫ সেপ্টেস্বর) রাজধানীর এক হোটেলে দুই দিনব্যাপী দ্য ফোরাম অব ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বডিজ অব সাউথ এশিয়ার (ফেমবোসা) নবম সম্মেলন উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
শিরিন শারমিন বলেন, ‘শক্তিশালী গণতন্ত্র চর্চায় আরপিও ও সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজন করতে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন দায়বদ্ধ। অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিঃসন্দেহে কঠিন। নির্বাচনে অংশীজনদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধি বেছে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। রাজনৈতিক দল, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, ভোটার, গণমাধ্যম, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও জনগণ কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন। নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হলে অংশীজনদের যুক্ত করতে হবে।’
এসময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, আফগানিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ নির্বাচন কমিশন হতে মোট ২১ জন প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ১ম সাধারণ অধিবেশনে ফেম্বোসার বর্তমান চেয়ারম্যান স্বাগতিক বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিকট ফেম্বোসার চেয়ারম্যানশিপ হস্তান্তর করবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর তিনটি সাধারণ ও ৮টি টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এসব সেশনে অংশগ্রহণকারীগণ নির্বাচনের বিভন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন।
বাংলাদেশ হতে ২০১০ সালে ফেম্বোসার যাত্রা শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে ২০১১ সালে পাকিস্তান, ২০১২ সালে ভারত, ২০১৩ সালে ভুটান, ২০১৪ সালে নেপাল, ২০১৫ সালে শ্রীলংকা, ২০১৬ সালে মালদ্বীপ ও ২০১৭ সালে আফগানিস্তানে সংস্থাটির বাৎসরিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দেশের নামের বর্ণনাক্রমে ঘুরে এসে ২০১৮ সালে বাংলাদেশে নবম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এছাড়াও সম্মেলনে বাংলাদেশের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।