বাঁহাতের আঙুলের সংক্রমণের চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রাণভোমরা, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
রবিবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে মেলবোর্ন-সিঙ্গাপুর হয়ে রাজধানীর হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি।
বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সাকিব বলেন, ‘আঙুলের সমস্যাটা আসলে এমন একটা ব্যাপার যেটার কোনো বাঁধাধরা সময় নেই। হতে পারে যে সামনের মাসেও খেলতে নেমে যেতে পারি। এখন হাতে ব্যথা নেই, খুব ভালো অনুভব করছি। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমার হাতের সঞ্চালন ক্ষমতা ও শক্তি কত দিনে ফিরে আসে। রিহ্যাবের মাধ্যমে তাড়াতাড়ি ফিরে আসতে পারে। যদি আসে তাহলে সামনের মাসেও খেলতে পারি। আবার রিহ্যাবের পর যদি ব্যথা অনুভব করি তাহলে আবার অপেক্ষা করতে হবে যে কখন সার্জারি করতে পারবো।’
‘পুরো ব্যাপারটাই আসলে একটা অনিশ্চিত ঘটনা। তবে একটা জিনিস ভালো যে ইনফেকশন হবার পর এখন সেটা কমে গেছে। এখন সার্জারি বাদেও খেলা যেতে পারে। যদি সেটা হয় তাহলে সেটা হবে সব থেকে ভালো অপশন। কিন্তু এটাও নিশ্চিত করে বলাটা মুশকিল। বললাম যে, হতে পারে একমাস পরেও খেলতে পারি আবার ছয় মাসও লাগতে পারে। আশা করি একমাস পরই খেলতে পারবো। তারপরও যেহেতু আঙুলের শক্তি ফেরত আসার ব্যাপার আছে। এক মাসে হয়তো হবে না। একটু বেশিই সময় লাগবে।’
চলতি বছরের জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে সাকিব খেলতে পারছেন না এটা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলতে পারবেন না তামিম ইকবাল।
এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘ইনজুরিটা তো খেলাধুলারই অংশ। একজন-দুইজন খেলোয়াড় সব সময় ফিট থাকবে না। সব সময় খেলতেও পারবে না। এর সুবিধা হচ্ছে নতুন নতুন খেলোয়াড়দের সুযোগ আসে। আশা করি তারা কাজে লাগাতে পারবে এবং ভালো করবে। সত্যি কথা বলতে কারো জন্য কোনো কিছু অপেক্ষা করে না। আমি আশা করি বাংলাদেশ আরও ভালো করবে। আমি ও তামিম ছাড়া যদি এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ফাইনাল খেলতে পারে তাহলে জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে না জেতার কোনো কারণ দেখি না।’