আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করতে সভা ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে এই সভায় অন্য চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ সচিবালয়ের আরো অনেকে উপস্থিত থাকবেন।
ইসির ৩৬তম এই কমিশন সভায় তিনটি আলোচ্যসূচির মধ্যে প্রথমেই রাখা হয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সর্বেশষ প্রস্তুতি বিষয়ে ইসি সচিবালয় থেকে কমিশনকে অবহিতকরণ। এ সভায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখ চূড়ান্ত করা হতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘আগামী ১৫ অক্টোবর ইসির পরবর্তী কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কমিশন সভায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সর্বশেষ প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। বিশেষ করে ভোটার তালিকা, সীমানা নির্ধারণ, ব্যালট পেপার, কাগজ কালিসহ ইসির সর্বশেষ প্রস্তুতি কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা আলোচনা করা হবে।’
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এই সভায় হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘এ বিষয়টি আগামী সভার এজেন্ডায় রাখা হয়নি।’
ইসির উপসচিব মো. মঈন উদ্দীন খানের (সংস্থাপন) সই করা এক চিঠিতে কমিশন সভার নোটিশে তিনটি বিষয়ে আলোচনার কথা উল্লেখ করা হয়। বিষয় তিনটি হলো- একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে কমিশনকে অবহিতকরণ, হিজড়া জনগোষ্ঠীকে ভোটার তালিকায় আলাদা লিঙ্গ হিসাবে অর্ন্তভুক্ত করা, বর্তমান ভোটার তালিকা বিধিমালায় সংশ্লিষ্ট বিধি ও ফরমে সংশোধন এবং বিবিধ।
এর আগে গত ৩০ আগস্ট ইসির সর্বশেষ ৩৫তম কমিশন সভা হয়। ওই সভায় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করার জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) সংশোধনী আনা হয়। তবে সেই সংশোধনীতে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়ে সভা বর্জন করেছিলেন ইসি কমিশনার মাহবুব তালুকদার। এরপর দেড় মাসের বিরতি দিয়ে ১৫ অক্টোবর ডাকা হয়েছে ইসির ৩৬তম কমিশন সভা। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বর্তমান কমিশন গঠনের পর দুই কমিশন সভার মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ সময়ের ব্যবধান।