Breaking News
Home / বাংলাদেশ / ৪ বছরে মাত্র ৪০% স্মার্ট এনআইডি কার্ড তৈরি হয়েছে- নির্বাচন কমিশন
Smart NID Card
Smart NID Card

৪ বছরে মাত্র ৪০% স্মার্ট এনআইডি কার্ড তৈরি হয়েছে- নির্বাচন কমিশন

২০১২ সালে নাগরিকদের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার প্রকল্প নেয় সরকার। তিন দফা সময় বাড়ানোর পরও ৪ বছরে মাত্র চল্লিশ ভাগ ভোটারের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি হয়েছে। তবে বিতরণ হয়েছে এর অর্ধেকেরও কম। যার জন্য তাদের কাছে চুক্তি নবায়ন হয়নি। এ জন্য বিদেশি কোম্পানিকে দুষছে জাতীয় পরিচয়পত্র বিভাগ। তারা বলছে, সব ভোটারের স্মার্ট কার্ড তৈরিতে অপেক্ষা করতে হবে ২০১৯ সাল পর্যন্ত।

নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের মাধ্যমে নাগরিকের তথ্য যাচাই করে ৮২টি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। ড্রাইভিং লাইসেন্স, টিআইএন, পাসপোর্ট, চাকরির আবেদন, সম্পত্তি কেনাবেচা, বিয়ে নিবন্ধন, ব্যাংক হিসাব খোলা ও ব্যাংক ঋণ, সরকারি কর্মচারীদের বেতনসহ নানা কাজে এখন পরিচয়পত্র অপরিহার্য।

নাগরিকদের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার প্রকল্প নেওয়া পর প্রাথমিকভাবে ৯ কোটি স্মার্টকার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তিন বছর পর শুরু হয় ছাপার কাজ। এরপর তিন বার মেয়াদ বাড়িয়ে শেষ হয়নি প্রকল্প। এ জন্য বিদেশি কোম্পানিকে দুষছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

দেশের ১০ কোটি ৪১ লাখের বেশি ভোটারের মধ্যে ৪ কোটির স্মার্ট পরিচয়পত্র তৈরি হয়েছে। বিতরণ হয়েছে অর্ধেকেরও কম। জাতীয় পরিচয়পত্র বিভাগ এখন বলছে, সব ভোটারের স্মার্টকার্ড তৈরিতে আরো এক বছরের বেশি অপেক্ষা করতে হবে।

জাতীয় পরিচয়পত্র বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ান জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসনলাম বলেছেন, তাদের যে চুক্তিবদ্ধ সময় ছিলো, সেই সময়ের মধ্যে তারা মাত্র ১২ ভাগ কাজ সম্পন্ন করেছেন। হঠাৎ তাদের ব্যর্থতা ছিলো ৮৮ ভাগ। যার জন্য তাদের কাছে চুক্তি নবায়ন করিনি। বিদেশিরা যখন এটি তদারকি করতো তখন তাদের একটি সম্পূর্ণ সেটাপ ছিলো। সেই সেটাপকে বদলিয়ে আমাদের আয়ত্তে আনতেও কিছুটা সময় লেগেছে। আর এ পর্যন্ত ৬৪ জেলার ১৬৫ উপজেলায় স্মার্টকার্ড বিতরণ করেছে নির্বাচন কমিশন।

আরও পঠিত খবর

‘নির্বাচনের আগে পরিবহন আইন পরিবর্তনের সুযোগ নেই’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সড়ক পরিবহন আইন পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *