৩০% কোটা দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ শিক্ষার্থী ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে। রাস্তার দু’ধারে হাজার হাজার যাত্রী দূর্ভোগের কবলে পড়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে।
রবিবার (৭ অক্টাবর) দুপুর ১২টার পর থেকে ‘মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়’ শাখা এ অবরোধ করে। এতে ঢাকামুখী ও ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা হাজার হাজার গাড়ি রাস্তার দু’পাশে আটকা পড়ে। চরম দূর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা। কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা এ অবরোধ করেছে বলে জানা গেছে।
ঢাকা -আরিচা মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা অভিমুখী রাস্তাটিতে একটি বেঞ্চ বসানো আছে। তার উপর এক জন আন্দোলনকারী বসে আছে। আর তাতেই এ রাস্তার গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
অন্যদিকে, ঢাকা থেকে বের হওয়ার রাস্তায় দু’টি টেবিল ও একটি মোটরসাইকেল দাঁড় করানো রয়েছে। সেগুলো ঘিরে রেখেছে আন্দোলনারীরা। সময়ের তারতম্যে সর্বসাকুল্যে তাদের সংখ্যাও হবে ৭-১৩ জনের মতো। আর তাদের আশেপাশে ভিড় জমাচ্ছে দূর্ভোগে পাড়া যাত্রীরা।
দুপুরের কড়া রোদে হাঁপিয়ে ওঠা জনগণ আন্দোনকারীদের একাধিক বার অনুরোধ করলেও কোন সাড়া মেলেনি। মাঝে মাঝে আন্দোলনকারীদের সাথে যাত্রীদের বিতর্কে জড়িয়ে পড়তেও দেখা গেছে।
ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি রয়েছে। এছাড়া দুপুর ২ টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ঘটনা স্থলে যান। সেখানে উপস্থিত থাকা আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) জাবের মাসুদ আন্দোলনারীদের সাথে কথা বলে ব্যর্থ হন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা কোন আন্দোলনের ভাষা হতে পারেনা। কয়েকজন শিক্ষার্থী মিলে দেশের এই ব্যস্ততম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা মোটেও যৌক্তিক নয়।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা এ মহাসড়কে অবস্থান নিলে জল কামান ব্যবহার করে তাদেরকে রাস্থা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এদের বিষয়ে এমন কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা- এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের এমন কোন নির্দেশনা নেই। নির্দেশনা মোতাবেক আমরা ব্যবস্থা নিবো।’
এ আন্দোলন বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত চলে।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে প্রবেশে নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত অর্থাৎ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে কোটা পদ্ধতি না রাখার প্রস্তাব মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। গত বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এর একদিন পর বৃহস্পতিবার কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।