বাস স্টপ নির্ধারণের জন্য ১২১টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে এবং সেখানে সাইনবোর্ড লাগানোর কাজ চলছে জানিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ‘সড়কে যত্রতত্র বাস থামানো যাবে না। বাস থামানোর জন্য আমরা স্টপেজ নির্ধারণ করে দেব। এক স্টপেজ থেকে আরেক স্টপেজে যাওয়ার পথে কোথাও বাস থামানো যাবে না এবং বাসের দরজা বন্ধ রাখতে হবে। এক সপ্তাহের মধ্যেই এই স্থানগুলো চিহ্নিত করে দেয়া হবে।’
মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে মিডিয়া সেন্টারে মাসব্যাপী ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘রাজধানীতে যত্রতত্রভাবে রাস্তা খোড়াখুড়ির কারণেও যানজট আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আমরা লক্ষ্য করেছি বড় যানবাহনের সঙ্গে মোটরসাইকেল সংখ্যাও বেড়েছে এবং তারা বেপরোয়া ভাবে চলাচল করে। বাসগুলো পারাপারির প্রতিযোগিতার মাধ্যমে চলতে গিয়ে সড়কে যেমন যানজট তৈরি করে আবার অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা ঘটে।’
‘সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আমরা কাজ করে চলছি। তবে আমাদের নাগরিকদের মধ্যে আইন না মানার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। প্রত্যেকে যদি আমরা আইন না মানি তাহলে পুলিশের দ্বারা সড়কের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা অসম্ভব।’
মাসব্যাপী ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘পুরো সেপ্টেম্বর মাসব্যাপী আমরা ঢাকা মহানগরীতে একটি বিশেষ ট্রাফিক কর্মসূচি পালন করব। যে কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ হবে ট্রাফিকের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা, যানজট নিরসন, গাড়িগুলো যাতে সারিবদ্ধ ভাবে চলে, যত্রতত্র গাড়িগুলো যেন পার্কি না হয় এবং সকলে যেন ট্রাফিক আইন মেনে চলে সেই বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা।’
‘আমরা দেড় বছর ধরে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় অভিযান পরিচালনা করেছি তবে সেইগুলো প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটা অপ্রতুল। হাইড্রোলিক হর্ন, উল্টা পথে চলা, বিভিন্ন পেশাজীবীদের স্টিকার লাগিয়ে ট্রাফিক আইন অমান্য, কালো গ্লাস ব্যবহার, মোটরসাইকেলে হেলমেট না পড়া এবং দুইজনের অধিক যাত্রী উঠা এইগুলোর বিরুদ্ধে গত দিনগুলোতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। এই পর্যন্ত ৬ লক্ষ ২৬ হাজার মামলা হয়েছে চালক ও যানবাহনের বিরুদ্ধে।’