নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত চতুর্থ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে গত রোববার সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে রাজনৈতিক নানা বিষয়। আর সে প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে যুক্তফ্রন্টের নেতাদের নিয়ে সরস মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, রব সাহেব একসময় ছাত্রলীগ করত। তারপর ছাত্রলীগ ছেড়ে চলে গেল। আমরা ঠাট্টা করে বলতাম, অসময়ে নীরব, সুসময়ে সরব, আ স ম আবদুর রব। উনি এখন সরব হচ্ছেন, খুব ভালো কথা।
আর প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের বিষয়ে গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানান আ স ম আবদুর রব।
এসময় তিনি বলেন, ভাতিজির ওপর যখন গ্রেনেড হামলা হয় তখনও গর্জে উঠেছি এবং রাজপথে নেমেছি। যাই হোক প্রধানমন্ত্রী দেশের কর্ণধার, সে দিক দিয়ে এবং চাচা হিসেবে আদর করে তিনি অনেক কথা বলতেই পারেন। বঙ্গবন্ধুকে আমি মুজিব ভাই বলে ডাকতাম। সে হিসেবে আমার ভাতিজি আদর করে চাচাকে এসব কথা বলেছেন। আমি ভাতিজির জন্য মিষ্টি এবং ফুলের তোড়া পাঠাবো।
আবদুর রব বলেন, দুঃসময়ে আমি ছিলাম কিন্তু সুসময়ে আমি নেই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সময় আমি ছিলাম। একপর্যায়ে আমি বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে দূরে সরে গিয়ে বিরোধীদল গঠন করেছি।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ রাজধানীর পল্টন ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে ‘জাতির জনক’ উপাধিতে ভূষিত করি। ওই সময় বঙ্গবন্ধুর হিমালয় সমান জনপ্রিয়তা ছিল। পরে তার কাছ থেকে সরে গিয়ে দেশ ও জাতির স্বার্থে জাসদ গঠন করেছি।
আ স ম আবদুর রব বলেন, ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টের পর জাতির জনকের হত্যার বিচারের জন্য গর্জে উঠেছিলাম। কর্নেল তাহের হত্যার পর এক টানা ১০ বছর জেল খেটেছি।
তার রাজনৈতিক জীবনে কখনো সুসময় ছিল না জানিয়ে জেএসডি সভাপতি আরও বলেন, পাকিস্তান রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যে থেকে দেশকে স্বাধীন করার তাগিদে পাকিস্তানি শাসকদের রক্তচক্ষুর মাঝে ১৯৭১ সালের ২ মার্চ স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন যদি প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনাবোধে সুসময় মনে হয় তাহলে কিছু না বলাই ভালো।