প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার কাঠমান্ডুর হোটেল কোয়ালটি ক্রাউন প্লাজায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, বৈঠক দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়।
দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট ‘বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন’ বা বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দিতে দুই প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে নেপালে অবস্থান করছেন।
কাঠমান্ডুতে বৃহস্পতিবার এই সম্মেলনে জোটভুক্ত সাত দেশের নেতারাও অংশ নেন।
ইহসানুল করিম বলেন, ‘দুই প্রধানমন্ত্রী নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি এবং এ সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর নিয়ে আলোচনা করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৈঠকে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নেপালের সমর্থনের কথা গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।’
পরে ভুটানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দাসো সেরিং ওয়াংচুক একই হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাদের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয় বলে প্রেস সচিব জানান।
বৈঠকে ভুটানের সরকারপ্রধান তার দেশের আসন্ন নির্বাচন সম্পর্কে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
দাসো সেরিং বলেন, ‘আমাদের সংবিধান অনুযায়ী দেশের পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়া হয়েছে এবং ৩১ অক্টোবরের মধ্যে নতুন সরকার শপথ নেবে।’
দুই নেতা উভয় দেশের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা আশা প্রকাশ করেন যে, আগামী দিনগুলোতে এই সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। ভুটানের প্রধান উপদেষ্টা তার বাংলাদশের বিক্রমপুরে সফরের কথা স্মরণ করেন।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. নজিবুর রহমান ও পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
পরে শেখ হাসিনা ও জোটের অন্যান্য নেতারা নেপালের রাষ্ট্রপতি ভবন শীতল নিবাসে দেশটির রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারা সেখানে নেপালের রাষ্ট্রপতির দেয়া মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন।
শেখ হাসিনা বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) দুদিনের চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার সকালে নেপাল পৌঁছেছেন।