স্বাধীন বাংলার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একের পর এক বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।
‘আশ্রয়ণের অধিকার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার’ স্লোগানকে সামনে রেখে সবার জন্য বাসস্থান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার। এরইমধ্যে ১৩টি ইউনিয়নের ১ কোটি ২১ লাখ টাকায় ১২১ জন দুস্থকে বিনামূল্যে বাসস্থান করে দিয়েছে সরকার। নতুন করে ১৬৬টি ঘর বরাদ্দ হয়েছে। ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়ন থেকে শুরু হয়েছে ভিক্ষুকদের জন্য নতুন ঘর নির্মাণ কাজ।
প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে ঘর পাওয়ায় খুশি কালাদহ ইউনিয়নের পাটিরা উত্তর পাড়া গ্রামের ৮৫ বছর বয়সের ভিক্ষুক অসুস্থ রুস্তম আলী। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঘর পাওয়ার আগে ভিক্ষা করে পেট চললেও বিগত ২০ বছর ধরে রাতে ঘুমের আরাম তিনি বুঝতেন না। আখের পাতা দিয়ে বানানো একটি ঘর থাকলেও কুকুর, শিয়াল ঘরে ঢুকে খাবার নিয়ে গেছে। শীতের সময় কষ্টের সীমা অবর্ণনীয়।
জীবনে তিনি একটি টিনের ঘর বানানোর স্বপ্ন দেখেননি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঘর পাওয়ায় তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘মরার আগে আল্লাহ রহমত করছে। সরকার টিনের ঘর কইরা দেওয়ায় শেষ বয়সে ইট্টু আরামে-আয়েশে ঘরে থাইক্কা যাবার পামু।’কালাদহ, ভবানীপুর ও এনায়েতপুর ইউনিয়নের সরেজমিনে দেখা গেছে, ভিক্ষুক বাসস্থানের প্রতিটি ঘরের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ সাড়ে ১৬ ফুট করে। ফ্লোরপাকাসহ চার চালা প্রতিটি ঘর তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে আকাশমণি কাঠ, ৩৬ মিলি ঢেউটিন, ইট-সিমেন্টে ১৭ টি করে মজবুত খুঁটি। ঘরের পাশেই করে দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেট। ফুলবাড়ীয়া উপজেলার প্রকল্পটি সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লীরা তরফদার।
কালাদহ ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম মাস্টার বলেন, কালাদহ ইউনিয়নে ৬ জন ভিক্ষুককে ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। স্বচ্ছ যাচাই বাছাই করার কারণে সবার জন্য বাসস্থান প্রকল্পের আওতায় প্রকৃত ভিক্ষুকরা যাদের ঘর করার সমর্থ নেই তারই ঘরগুলো পেয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার লীরা তরফাদর বলেন, আশ্রয়ণের অধিকার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার সবার জন্য বাসস্থান কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ভিক্ষুকদের তালিকা একাধিক বার যাচাই বাছাই শেষে স্বচ্ছ তালিকা প্রণয়ন করা হয়। যাদের বাড়ি ঘরের জমি ছাড়া কিছুই নেই, সেইসব প্রকৃত ভিক্ষুকদের এক লাখ টাকা খরচ করে প্রতিটি টিনসেড ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এবারও নতুন করে ১শ ৬৬ জনের জন্য এক কোটি ৬৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পুটিজানা ইউনিয়ন থেকে কাজ শুরু হয়েছে।