মেয়েটার বয়স ১২ বছর। ক্লাস সিক্স এ পড়ে। বিয়ে হয়েছে ২৭ বছরের এক পুলিশ কনস্টেবল এর সাথে। এক মাস আগে বিয়ে হয়েছে। একসাথে থাকার সুযোগ হয় নি চাকুরির কারনে। গতকালই প্রথম বাসর হয়েছে তাদের। আর তাতেই যা হওয়ার হয়ে গেছে!!
হাসপাতালে যখন নিয়ে এসেছে তখন মেয়েটার পুরো কাপড় চোপড় রক্তে ভেজা, Haemorrhagic shock এ চলে গেছে। দুই ব্যাগ রক্ত লাগল।
অপারেশন থিয়েটারে যখন তুললাম, তখনই ভাল করে দেখলাম। একেবারেই বাচ্চা একটা মেয়ে। ভয়ে জড়সড় হয়ে আছে। রক্ত শুন্যতায় ফ্যাকাশে চেহারা আরো ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। বাবা ছা পোষা গরীব লোক । টিপিকাল পাড়াগাঁয়ের মানুষ। পুলিশে চাকুরী করে জামাই পেয়েই নিতান্ত বাচ্চা মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে। দূরতম স্বপ্নেও কল্পনা করেনি সারা জীবনের গালি হয়ে থাকবে এমন একটা ঘটনা ঘটে যাবে। এতটাই কুশ্রী, বিশ্রি, বদখত ঘটনা ঘটবে যা নিয়ে পরিচিত কারো সাথে সামান্য আলাপ ও করা যাবে না যে ঘটনা টা আসলে কি ঘটেছে।
Vagina এর ল্যাটেরাল ওয়াল যতবড় Tear দেখলাম, ডেলিভারি টেয়ার ও এত বড় হয় না। হাফ লিটার এর মত রক্তের ক্লট ভিতরেই আছে। আমার রাগ মাথায় উঠে গেল। শালা সব গুলোরে পুলিশে দেওয়া দরকার। জোর করে রেপ করলেও হয়ত এতকিছু ঘটত না।
Anaesthesia ভাই কে বললাম:: কেমনে সম্ভব বলেন তো??
ভাইয়া বললেন:: আমরা পুরুষ মানুষের জাতটাই আসলে খারাপ। কচি এবং ইনট্যাক্ট মেয়ে খুজতে খুজতে এখন ১২ বছরের নাবালিকাকে বিয়ে করতে হয়, ফার্স্ট ব্লাড দেখার জন্য হন্যে হয়ে খুজতে হয়, এর পর সগর্বে সমাজে প্রচার করতে হয়। এই ছেলেটা একটা পারভার্ট। স্রেফ কুলঙ্গার। ওর জেল হওয়া উচিত।
আসলেও হয়ত তাই। আমরা পুরুষরাই খারাপ। কিছু ব্যাপারে আমাদের বাড়াবাড়ি হয়ত উন্মত্মতার পর্যায়ে পড়ে। জেনেটিকালি ও কিছু সমস্যা আছে। তবে পারভার্ট চিন্তা, লজিক এবং সেগুলোর চর্চাই সবচেয়ে ক্ষতিকারক। পুরুষ সুপিরিয়র এই চিন্তাটাও সব সময় ভাল ফল আনে না। এই মেয়েটার জীবনের কোন তোয়াক্কা না করেই যে বিয়ে করেছে সে একজন পুরুষ, যে বিয়ে দিয়েছে সেও একজন পুরুষ। ছোট দোলাভাইয়ের এক আত্মীয় বিয়ে করেছে এমন এক মেয়েকে যে ssc এবং hsc উভয় তেই A+ পেয়েছে। অথচ বিয়ে হয়েছে পঞ্চম শেনী পাশ এক নিরেটা বলদার সাথে যে ওই মেয়েকে আর পড়তে দিবে না। এমন কি পাশ কোর্সের ডিগ্রিও না। বলদ টা বলে দিয়েছে :: মেয়ে লোক। আর পড়ে কি করবে??
শুনে আমি হতবাক হয়ে যাই। এই মেয়েটা সুযোগ পেলে হয়ত আগামী দিনের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার অথবা আমলা, কলেজ শিক্ষক হবে।
মানুষের আনন্দ, ভালবাসা, সেক্স এ ব্যাপারগুলো সামলায় মস্তিষ্কের লিম্বিক কর্টেক্স। সেক্স নিয়ে সেখানে কোন ভাল অনুভুতি থাকলে সেটাই তাকে আজীবন ড্রাইভ দিবে। কিন্তু জীবনের এই জিনিষগুলো ঠিক ঠাক বুঝে উঠার আগেই স্রেফ সেক্সের কারনে কাউকে যদি মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসতে হয় তো সেটা লিম্বিক কর্টেক্সে একটা প্রাণঘাতী হরর স্মৃতি হয়ে থাকবে। সারা জীবনের জন্য এই মেয়েটা সেক্সে এবনরমাল আচরন করবে। এবং সত্যিকার ভাবে বললে বিয়ে করেও মেয়েটা সারাজীবন নিজ স্বামীর হাতেই Raped হবে।
ছেলেটার সাথে আমার দেখা হয় নি। পুলিশে চাকুরী করলে এগুলো মাঝে মাঝেই হয়ত দেখতে হয়। এটা তার কাছে স্বাভাবিক কি না অথবা সে ইমোশনাল ফ্যাটিগ কি না জানা দরকার। অন্ত:ত এতটুকু বলা দরকার:: সেক্স একটা আর্ট। আর এজন্য নলেজ দরকার। আর এই উন্মুক্ত দুনিয়ায় কোন কিছু আটকানো নেই। ভাল স্বামী হতে হলেও অনেক কিছু শিখতে হয়।