Breaking News
Home / অপরাধ / থামছে না ইলিশ ধরা, পৌঁছেনি সরকারি সহায়তা

থামছে না ইলিশ ধরা, পৌঁছেনি সরকারি সহায়তা

মা ইলিশ সংরক্ষণে চলমান অভিযানে একদিকে যেমন ইলিশ শিকার বন্ধ হয়নি তদ্রুপ জেলেদের জন্য সরকারি সহায়তাও এখনো পুরোপুরি পায়নি জেলেরা। ফলে ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের প্রথম সপ্তাহ দোটানার মধ্য দিয়ে পার হল। ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে সমুদ্র ও নদীতে গত ৭ অক্টোবর থেকে ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার।

শুরু হওয়া এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মা ইলিশ শিকারের দায়ে প্রথম ১০ দিনে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় ৩’শ ৯০ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি এ পর্যন্ত ৫ লাখ ২৭ হাজার ৯ শত টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং ৩ হাজার ২০০ কেজি ইলিশ ও প্রায় ১৪ লক্ষ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়। এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বরিশাল বিভাগীয় মৎস অফিসের সহকারী পরিচালক আজিজুর রহমান।

তিনি জানান, গত ৭ অক্টোবর থেকে মঙ্গলবার দিবাগত রাত পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় মৎস অধিদপ্তরের নেতৃত্বে মোট ৮০২ টি অভিযান ও ৪৩১ টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। যার অনুকূলে ৩৪৪ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

যদিও সরকার থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল অভিযান শুরুর পর থেকেই সহায়তা করা হবে জেলেদের। এবার চাল বরাদ্দ পেতে সারাদেশে তিন লাখ ৯৫ হাজার ৭০৯ কার্ডধারী জেলে তালিকাভুক্ত করা হয়। যার মধ্যে বরিশাল বিভাগে তালিকাভুক্ত তিন লাখ ৫১ হাজার ৩০৪ জেলের নাম ছিল। আর তাদের মধ্যে চাল পাবেন দুই লাখ ২৭ হাজার ৯৪৩ জন।

কিন্তু অভিযান শুরু হওয়ার পর ১০ দিন অতিবাহিত হলেও সহায়তার চাল পৌঁছেনি বরিশাল বিভাগের সমস্ত উপজেলার জেলেদের কাছে। কয়েকটি উপজেলায় চাল দেওযা শুরু করলেও তাতে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন জেলেরা।

মূলত, প্রান্তিক জেলেদের সহায়তায় সরকারিভাবে ২০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা। নিষেধাজ্ঞা শুরুর প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই জেলে পরিবারগুলোতে চাল বিতরণের সরকারি নির্দেশনা ছিল। কয়েক বছর ধরেই অভিযোগ উঠেছে যে, যথাসময়ে চাল পান না জেলেরা। আবার শেষ সময়ে পাওয়া গেলেও ২০ কেজির পরিবর্তে সর্বোচ্চ ১৫ কেজি চাল দেওয়া হয় তাদের। এর কারণ জানতে চাইলে চাল বিতরণের দায়িত্বে থাকা একাধিক জনপ্রতিনিধি (ইউপি চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র) বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহেই তারা চাল বিতরণ শুরু করবেন।

এদিকে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রজননকালে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা তাদের দায়িত্ব। আর ত্রাণ বিতরণের বিষয়টি রয়েছে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে। মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল জেলা কার্যালয়ের মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস বলেন, ইলিশ নিধনে নিষেধাজ্ঞা পালনে জেলেদের উৎসাহিত করতে এবং তাদের সহায়তা হিসেবে তিন বছর ধরে প্রত্যেক জেলে পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞার শুরুতেই প্রান্তিক জেলেদের কাছে চাল পৌঁছাতে না পারলে বিতরণের আসল উদ্দেশ্যে ব্যাহত হয়। তবে বিষয়টির সঙ্গে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্পৃক্ততা না থাকায় তারা এক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখতে পারছেন না।

মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক ড. ওয়াহেদুজ্জামানের দাবি, কিছু কিছু জায়গায় চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। যারা করেননি, তারা চলতি সপ্তাহের মধ্যে বিতরণ শুরু করবেন।

এ বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে জেলেদের সংগঠন জাতীয় ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন, এবার নিষেধাজ্ঞার শুরুতেই ঘূর্ণিঝড় তিতলির প্রভাবে বৈরী আবহাওয়া চলছে। ফলে বেকার জেলেরা অন্য কোনো কাজও করতে পারছেন না। এমন অভাব-অনটনের মধ্যে ঠিক সময়ে চাল দেওয়াটা জরুরি। না দিলে জেলেরা পেটের তাগিদে নদীতে নামবে-এটাই স্বাভাবিক। এই নেতা মনে করেন, শুধু জেল-জরিমানা করে মা ইলিশ শিকার বন্ধ করা সম্ভব নয়। দরকার সরকারী সুবিধা বৃদ্ধি ও সুষম বন্টন করা।

মা ইলিশ সংরক্ষণে চলমান অভিযানে একদিকে যেমন ইলিশ শিকার বন্ধ হয়নি তদ্রুপ জেলেদের জন্য সরকারি সহায়তাও এখনো পুরোপুরি পায়নি জেলেরা। ফলে ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের প্রথম সপ্তাহ দোটানার মধ্য দিয়ে পার হল। ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে সমুদ্র ও নদীতে গত ৭ অক্টোবর থেকে ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার।

শুরু হওয়া এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মা ইলিশ শিকারের দায়ে প্রথম ১০ দিনে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় ৩’শ ৯০ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি এ পর্যন্ত ৫ লাখ ২৭ হাজার ৯ শত টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং ৩ হাজার ২০০ কেজি ইলিশ ও প্রায় ১৪ লক্ষ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়। এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বরিশাল বিভাগীয় মৎস অফিসের সহকারী পরিচালক আজিজুর রহমান।

তিনি জানান, গত ৭ অক্টোবর থেকে মঙ্গলবার দিবাগত রাত পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় মৎস অধিদপ্তরের নেতৃত্বে মোট ৮০২ টি অভিযান ও ৪৩১ টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। যার অনুকূলে ৩৪৪ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

যদিও সরকার থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল অভিযান শুরুর পর থেকেই সহায়তা করা হবে জেলেদের। এবার চাল বরাদ্দ পেতে সারাদেশে তিন লাখ ৯৫ হাজার ৭০৯ কার্ডধারী জেলে তালিকাভুক্ত করা হয়। যার মধ্যে বরিশাল বিভাগে তালিকাভুক্ত তিন লাখ ৫১ হাজার ৩০৪ জেলের নাম ছিল। আর তাদের মধ্যে চাল পাবেন দুই লাখ ২৭ হাজার ৯৪৩ জন।

কিন্তু অভিযান শুরু হওয়ার পর ১০ দিন অতিবাহিত হলেও সহায়তার চাল পৌঁছেনি বরিশাল বিভাগের সমস্ত উপজেলার জেলেদের কাছে। কয়েকটি উপজেলায় চাল দেওযা শুরু করলেও তাতে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন জেলেরা।

মূলত, প্রান্তিক জেলেদের সহায়তায় সরকারিভাবে ২০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা। নিষেধাজ্ঞা শুরুর প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই জেলে পরিবারগুলোতে চাল বিতরণের সরকারি নির্দেশনা ছিল। কয়েক বছর ধরেই অভিযোগ উঠেছে যে, যথাসময়ে চাল পান না জেলেরা। আবার শেষ সময়ে পাওয়া গেলেও ২০ কেজির পরিবর্তে সর্বোচ্চ ১৫ কেজি চাল দেওয়া হয় তাদের। এর কারণ জানতে চাইলে চাল বিতরণের দায়িত্বে থাকা একাধিক জনপ্রতিনিধি (ইউপি চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র) বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহেই তারা চাল বিতরণ শুরু করবেন।

এদিকে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রজননকালে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা তাদের দায়িত্ব। আর ত্রাণ বিতরণের বিষয়টি রয়েছে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে। মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল জেলা কার্যালয়ের মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস বলেন, ইলিশ নিধনে নিষেধাজ্ঞা পালনে জেলেদের উৎসাহিত করতে এবং তাদের সহায়তা হিসেবে তিন বছর ধরে প্রত্যেক জেলে পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞার শুরুতেই প্রান্তিক জেলেদের কাছে চাল পৌঁছাতে না পারলে বিতরণের আসল উদ্দেশ্যে ব্যাহত হয়। তবে বিষয়টির সঙ্গে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্পৃক্ততা না থাকায় তারা এক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখতে পারছেন না।

মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক ড. ওয়াহেদুজ্জামানের দাবি, কিছু কিছু জায়গায় চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। যারা করেননি, তারা চলতি সপ্তাহের মধ্যে বিতরণ শুরু করবেন।

এ বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে জেলেদের সংগঠন জাতীয় ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন, এবার নিষেধাজ্ঞার শুরুতেই ঘূর্ণিঝড় তিতলির প্রভাবে বৈরী আবহাওয়া চলছে। ফলে বেকার জেলেরা অন্য কোনো কাজও করতে পারছেন না। এমন অভাব-অনটনের মধ্যে ঠিক সময়ে চাল দেওয়াটা জরুরি। না দিলে জেলেরা পেটের তাগিদে নদীতে নামবে-এটাই স্বাভাবিক। এই নেতা মনে করেন, শুধু জেল-জরিমানা করে মা ইলিশ শিকার বন্ধ করা সম্ভব নয়। দরকার সরকারী সুবিধা বৃদ্ধি ও সুষম বন্টন করা।

আরও পঠিত খবর

‘এসবি অফিস থেকে বলছি, ভেরিফিকেশনের জন্য বিকাশে টাকা পাঠান’

আমি এসবি অফিস থেকে বলছি। আপনি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন। আপনার ফাইল আমার কাছে আছে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *