জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বলছে, বিশ্বে প্রতি তিনজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর একজন শিশু। আর প্রতিদিন ১ লাখ ৭৫ হাজার, অর্থাৎ প্রতি আধ সেকেন্ডে একজন শিশু নতুন করে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হচ্ছে।
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ২৫ শতাংশের বয়সই ১০ বছরের কম! আর ফেসবুকসহ সব ধরনের সোশাল মিডিয়ার ৯০% ব্যবহারকারীই বয়স ১৮ থেকে ২৯। গড়ে এদের একেক জনের রয়েছে ২০১ জন করে ফেসবুক ফ্রেন্ড।
বাংলাদেশেও প্রতিনয়ত ইন্টারনেটের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারী যার মধ্যে শিশুরাও আছে। বাংলাদেশ টেলি যোগাযোগ কর্তৃপক্ষ বিটিআরসি-র ২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের প্রায় ৩.৫% নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। আর এ শিশুদের একটা বড় অংশই যুক্ত নানা ধরনের সোশাল মিডিয়া সাইটের সঙ্গে।
আমেরিকান একাডেমি অব পেডিয়াট্রিকস – শিশুস্বাস্থ্য নিয়ে যাদের কাজ, তাদের গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে এ সংক্রান্ত ভয়াবহ কিছু তথ্য-
শিশু এবং সোশাল মিডিয়া
সামাজিক যোগাযোগ ঘটে যেসব সাইটের মধ্য দিয়ে মোটা দাগে তাদেরকেই ‘সোশাল মিডিয়া’ বলা হয়। এর মধ্যে ফেসবুক সবচেয়ে পরিচিত হলেও মাই স্পেস, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম বা স্ন্যাপচ্যাটের মতো সাইটগুলোও অনেকেই ব্যবহার করছে। সেই সাথে আছে গেমিং সাইট এবং ক্লাব পেঙ্গুইন, সেকেন্ড লাইফ বা সিমের মতো ভার্চুয়াল জগত। আছে ইউটিউব এবং ব্লগ। বিনোদনের জন্যেই হোক, কিংবা যোগাযোগ- এখনকার তরুণরা আসলে এসবের বাইরে যাবার কথা যেন ভাবতেই পারে না!
গত ৫ বছরে এ ব্যবহারের হার এতই বেড়েছে যে, একটা জরিপে দেখা যায়, টিনএজারদের ২২%-ই দিনে ১০ বারেরও বেশি ঢুকছে তাদের পছন্দের সোশাল মিডিয়া সাইটে। আর দিনে একবার তো বটেই, একের বেশিবারও ঢুকছে এদের অর্ধেকেরও বেশি। শতকরা ৭৫ ভাগ টিনএজারের কাছে এখন স্মার্ট ফোন আছে। আর এটাকে সোশাল মিডিয়ার কাজে ব্যবহার করছে শতকরা ২৫ জন। শতকরা ৫৪ জন ব্যবহার করছে টেক্সট করবার জন্যে আর ২৪ জন ব্যবহার করছে ইন্সট্যান্ট ম্যাসেজিংয়ের জন্যে। তার মানে এই কিশোর-তরুণদের সামাজিক এবং আবেগিক বিকাশের প্রায় পুরোটাই ঘটছে ইন্টারনেট এবং সেলফোনে বসে।
সাইবার বুলিং
বাংলাদেশসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশের ওপর চালানো এক জরিপে বলা হচ্ছে – এসব দেশে সাইবার বুলিং–এর ঝুঁকি উদ্বেগজনক এবং বিশেষ করে যারা অনলাইন গেম খেলেন তাদের সাইবার বুলিংয়ে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বেশি। বাংলাদেশ, ভারত, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, ও থাইল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি এশিয়ান দেশে এই জরিপটি চালায় টেলিযোগাযোগ কোম্পানি টেলিনর ।
এই জরিপের উত্তরদাতাদের বয়সসীমা ছিল ১৮ থেকে ৬৪ পর্যন্ত। কিন্তু তাদের পরিবারের আরো কমবয়স্ক শিশুরা কতটা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে – তার তথ্যও পাওয়া গেছে তাদের কাছ থেকে।
গ্রামীণ ব্যাংকের হেড অব কর্পোরেট রেসপনসিবিলিটি দেবাশিস রায় বলছিলেন, “শিশুরা সবচেয়ে বেশি যে অভিজ্ঞতার শিকার হচ্ছে – সেটা হলো অভদ্র বা অশ্লীল ভাষার প্রয়োগ তারা দেখছে। আর এটা তাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে”।
মি: রায় বলছেন “অনলাইনে গেম খেলতে গিয়ে যেমন বিরূপ মন্তব্যের মধ্যে পড়ছে, তেমনি সোশাল মিডিয়া বা চ্যাট করতে গিয়েও তারা যেসব ভাষা বা মন্তব্য দেখছে – সেটা অনেকেই স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছে না। বাচ্চাদের জন্য যে ভাষা উপযুক্ত নয় সেগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে অনলাইনে। অনেকে বুঝতেও পারছে না তারা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে”।
জরিপে বলা হচ্ছে, যাদের সন্তানেরা অনলাইনে গেম খেলে তাদের সাইবার বুলিং এ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনলাইনে যারা সাধারণ ব্রাউজিং করে তাদের চেয়ে বেশি।
জরিপে ৭৯ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, তাদের সন্তান এবং পরিচিত শিশুরা অনলাইন গেমস খেলার সময় শারীরিকভাবে আক্রান্ত হওয়ার হুমকির শিকার হয়েছে। আর ৪১ শতাংশ জানিয়েছেন, শিশুরা অনলাইনে যেসব আপত্তিকর মন্তব্যের শিকার হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে গালাগালি, বর্ণবাদী ও যৌনতা বিষয়ক মন্তব্য।
“জরিপে দেখা গেছে প্রায় ৪৬ শতাংশ অভিভাবক তাদের সন্তানদের সঙ্গে ইন্টারনেট ও অনলাইনে আচরণ কিভাবে করতে হবে তা নিয়ে আলোচনা করেন। আর ৩৯ শতাংশ অভিভাবক বলেছেন, তারা মাঝেমধ্যে সন্তানদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করেন। তবে ১২ শতাংশ অভিভাবক সাইবার বুলিংয়ের বিষয়ে কখনোই সন্তানদের সঙ্গে আলোচনা করেননি” – জানান মি: রায়।
দেবাশিস রায় বলছিলেন, অনেক অভিভাবক জানেনই না তাদের সন্তান কী করছেন ইন্টারনেটে, আর এটা আরও বিরূপ প্রভাব ফেলছে ওই শিশুর ওপর। তবে যারা সচেতন তারা তাদের সন্তানদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেন, এমনটাই উঠে এসেছে প্রতিষ্ঠানটির জরিপে।
সাইবার বুলিংয়ের অভিজ্ঞতা শিশুদের ওপর নানা প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে যারা জানে না অনলাইনে বুলিং কী বা কিভাবে এর মোকাবেলা করতে হয় সেসব শিশুদের বড় একটা অংশ হতাশায় ভুগছে। সেই সাথে যুক্ত হয়েছে উদ্বেগ এবং বিচ্ছিন্নতা। পরিবার-বন্ধু ও পরিচিতদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা একটা অস্বাভাবিক মানসিক অবস্থায় চলে যাচ্ছে, তার চরম পরিণতিতে কেউ কেউ হয়তো নিচ্ছে আত্মহত্যার মতো ভয়ংকর সিদ্ধান্ত।
সেক্সটিং
সেক্সটিং বলতে মোবাইল, কম্পিউটার বা অন্যান্য ডিভাইসের মাধ্যমে যৌন উত্তেজক ছবি, মেসেজ বা ভিডিও দেয়া–নেয়াকে বোঝায়। একটা জরিপে দেখা গেছে, টিনএজারদের শতকরা ২০ ভাগই কখনো না কখনো তাদের নগ্ন বা অর্ধনগ্ন ছবি পাঠিয়েছে বা পোস্ট করেছে। এজন্যে তাদের কাউকে কাউকে পরে শিশু পর্নোগ্রাফির অভিযোগেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়া এ ধরনের ঘটনা পরবর্তী জটিলতার কারণে স্কুলে না যাওয়া বা স্কুল ছেড়ে দেয়ার উদাহরণও আছে কারো কারো ক্ষেত্রে। এমনকি প্রেমের নামে প্রতারণার খপ্পড়ে পড়ে যারা এ ধরনের কাজ করে, সামাজিক মর্যাদার ভয়ে তাদের কেউ কেউ আত্মহত্যার পথেও পা বাড়িয়েছে, এমন ঘটনাও ঘটেছে।
ফেসবুক ডিপ্রেশন
জরিপে উঠে এসেছে ফেসবুক যারা ব্যবহার করে তাদের ২৫ শতাংশের বয়সই ১০ বছরের কম। আর ফেসবুকসহ সোশাল মিডিয়ার যেসব নেতিবাচক মনোজাগতিক প্রভাব রয়েছে, এ শিশুদের ওপর তা পড়ে আরো ভয়ংকরভাবে!
ব্রিটেনের একজন চিকিৎসক রঙ্গন চ্যাটার্জী বলছেন, কিশোরকিশোরীদের মানসিক সমস্যা এবং তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের মধ্যে যে সম্পর্ক আছে, তার অনেক প্রমাণ তিনি পেয়েছেন।
সম্প্রতি একদল মার্কিন শিশু কল্যাণ বিশেষজ্ঞ ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের কাছে একটি চিঠি লেখেন। এতে তারা ‘মেসেঞ্জার কিডস’ নামে বাচ্চাদের মেসেজিং অ্যাপটি বন্ধ করে দেবার আহ্বান জানান। তারা বলেন, ১৩ বছরের কম বয়েসীদেরকে এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করতে উৎসাহিত করাটা দায়িত্বজ্ঞানহীন। তারা বলেন, তারা তথ্যপ্রমাণ পেয়েছেন যে সামাজিক মাধ্যমের কারণে কিশোরকিশোরীদের মানসিকতায় অস্বাভাবিক সব পরিবর্তন হচ্ছে, ১০ বছরের মেয়েও তার দৈহিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগছে।
ডাক্তার রঙ্গন চ্যাটার্জী বলছেন, তিনি একবার ১৬ বছরের একটি কিশোরকে রোগী হিসেবে পেয়েছিলেন – যে তার নিজের হাত-পা কাটার পর তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পাঠানো হয়েছিল।
“আমি প্রথমে ভেবেছিলাম তাকে বিষণ্ণতা-রোধী ওষুধ দেবো। কিন্তু তার সাথে কথা বলার পর মনে হলো, সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করায় তার স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।”
কানাডার এসোসিয়েশন অফ মেন্টাল হেলথ দেখেছে যে, সাত থেকে ১২ তম গ্রেডের যেসব শিক্ষার্থী দিনে দু’ঘণ্টার বেশি সোশাল মিডিয়ায় কাটায়, তাদের মধ্যে দুঃশ্চিন্তা, হতাশা এবং আত্মহত্যা প্রবণতা অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি! কানাডার কলেজিয়েট মেন্টাল হেলথ দেখেছে, কানাডার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি যে তিনটি সমস্যায় ভুগছে তাহলো উদ্বেগ, হতাশা আর উৎকন্ঠা।
২০১৭ সালে রয়াল সোসাইটি অব পাবলিক হেলথ একটি জরিপ চালায় ১১ থেকে ১৫ বছর বয়স্ক দেড় হাজার কিশোর-কিশোরীর ওপর। এতে দেখা যায়, স্ন্যাপচ্যাট এবং ইনস্টাগ্রাম তাদের মনে সবচেয়ে বেশি হীনম্মন্যতা এবং দুশ্চিন্তা সৃষ্টি করে। ১০ জনের মধ্যে ৭ জন বলেছে ইনস্টাগ্রামের কারণে তাদের নিজেদের দেহ নিয়ে মন খারাপ হয়েছে। ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সের তরুণতরুণীদের অর্ধেকই বলেছে ফেসবুকের কারণে তাদের মানসিক দুশ্চিন্তা ও অশান্তি বেড়ে গেছে। দু-তৃতীয়াংশ উত্তরদাতা বলেছে, ফেসবুকের কারণে সাইবার বুলিং বা অনলাইনে অপমান-হয়রানি করার প্রবণতা আরো গুরুতর আকার নিয়েছে।
সাইকিয়াট্রিস্ট লুই থিওডোসিও বলছেন, “দু-তিন বছর আগেও তার সাথে এ্যাপয়েন্টমেন্টের মাঝখানে কোন বাচ্চা তাদের ফোন ব্যবহার করছে, বা টেক্সট করছে – এমন ঘটনা ছিল খুবই অস্বাভাবিক। কিন্তু এখন এটা খুব সাধারণ ব্যাপার হয়ে গেছে।”
“বাচ্চারা তাদের ফোন নিয়ে খুব বেশি সময় কাটাচ্ছে। সোশাল মিডিয়ার কারণে টিনএজাররা বিষণ্ণতা, দুশ্চিন্তা বা অন্য মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে – এমন কেসের সংখ্যা বেড়ে গেছে। ” তিনি বলেন, এসব বাচ্চারা এক কল্পনার জগতে বাস করছে, এতে তাদের স্বাস্থ্য খারাপ হচ্ছে। এমন অভিভাবকের কথাও আমি শুনেছি যারা ওয়াইফাই রুটার নিজেদের সাথে নিয়ে ঘুমান -যাতে বাচ্চারা মাঝরাতে উঠে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে না পারে।
ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস ও ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট
একটা সময় ছিল যখন নিজের একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য যা আমরা সাধারণভাবে সবাইকে জানাতে চাই না, তা গোপনই থাকত। কিন্তু সোশাল মিডিয়া সাইট আসার পর এ গোপনীয়তার সুযোগ যেন অনেকটাই কমে গেছে। আর শিশুরা হচ্ছে এ প্রবণতার সবচেয়ে করুণ শিকার। অনলাইনে একবার কোনোকিছু আপ হলে তা যে আর কখনোই মুছে ফেলা যায় না, এই সহজ ব্যাপারটাও হয়তো তারা জানে না। ফলে না বুঝে নিজের সম্পর্কে এমন অনেক তথ্য, ছবি বা ভিডিও হয়তো এরা এসব মাধ্যমে শেয়ার করে ফেলে যা পরবর্তীতে তাদের জীবনকে বিব্রত ও বিপন্ন করে তোলে।
তাছাড়া অনলাইনে নানান ধরনের ওয়েবসাইট ব্যবহার করার মধ্য দিয়ে প্রতিনিয়তই আমরা রেখে চলেছি আমাদের ‘ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট’। আর একজন শিশুর জন্যে এই ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট হতে পারে খুবই মারাত্মক! এর ফলে সে প্রতারক ও বিজ্ঞাপনদাতাদের খপ্পড়ে পড়ে যেতে পারে। প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে তার শিক্ষা, চাকরি এমনকি বিয়ের ক্ষেত্রেও।
ক্ষতিকর বিজ্ঞাপন
অনলাইনে যেসব সাইট আমরা ব্রাউজ করি, সেখানে প্রায়ই নানারকম বিজ্ঞাপন দেখতে পাই। এসব বিজ্ঞাপন আসলে আমাদের বয়স, পছন্দ, রুচি, ভালো লাগা ইত্যাদিকে বিশ্লেষণ করেই দেয়া হয়। আর এ বিশ্লেষণের তথ্য সংগৃহীত হয় আমাদের ব্রাউজিং আচরণ থেকে। তো একটি শিশু বা কিশোর যখন এসব বিজ্ঞাপন দেখে এবং যা হয়তো তার জন্যে ক্ষতিকর, কিন্তু সেটা বুঝবার মানসিক পরিপক্কতা তার এখনো আসে নি, সে শিশুটি কিন্তু তখন ঝুঁকির মুখে পড়ছে।
বয়সসীমা নেই!
কিছু কিছু সোশাল মিডিয়া তাদের সদস্য হবার জন্যে ১৩ বছর বয়সসীমাকে বাধ্যতামূলক করলেও অনেক সময়ই এটা মানা হয় না। গবেষণায় দেখা গেছে, ফেসবুকের শতকরা ২৫ ভাগ ব্যবহারকারীরই বয়স ১০ বছরের কম! তাছাড়া অনেক সাইটেই কোনো বয়সসীমাও নেই, যেমন, ডিজনি সাইট, ক্লাব পেঙ্গুইন ইত্যাদি। ফলে এসব সাইটে শিশুদের ঝুঁকিও অনেক বেশি।
[তথ্যসূত্র : Clinical Report—The Impact of Social Media on Children, Adolescents, and Families (American Academy of Pediatrics)]