Breaking News
Home / জীবনযাপন / ভুলেও প্লাস্টিকের বোতলে পানি পান করবেন না

ভুলেও প্লাস্টিকের বোতলে পানি পান করবেন না

খুব সহজেই এবং হাতের নাগালে চাইলেই পাওয়া যায় এমন জিনিসের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় ব্যস্ততা বাড়ায় অনেকেই ভালো-মন্দের বিচার না করেই প্লাস্টিকের বোতলে জমিয়ে রাখা পানি দিনের পর দিন নিশ্চিন্তে পান করে যাচ্ছি। কিন্তু এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াটা কি আমরা একবার ভেবে দেখেছি?

সাংঘাতিক! আপনি যদি প্লাস্টিকের বোতলে দিনের পর দিন জমিয়ে রাখা পানি পান করেন তবে যে পানির অপর নাম জীবন সেই পানিই আপনার জীবনকে শেষ করে দিতে পারে।

আমরা অনেক সময়ই অফিসে, বাসায় এমনকি গাড়িতে যাত্রাপথে সঙ্গে রাখি পানির বোতল। আর সব বাসাবাড়ি-অফিস-আদালতেই আজকাল প্লাস্টিকের বোতলের ব্যবহার ব্যাপক হারে বেড়েছে।

কিন্তু প্লাক্টিকের বোতলে রাখা পানি পানের ক্ষতিকারক দিকগুলি কি আপনে জানেন?

প্লাস্টিকের বোতল বারবার ব্যবহার করলে তাতে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি বাড়ে। সেক্ষেত্রে কয়েকদিন পর পর আপনি আপনার প্লাস্টিকের বোতলটি গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন। তাহলে ব্যাকটেরিয়া কিছুটা কম থাকবে।

আমরা অনেকেই চলার পথে দিনের সারাটাক্ষণ সঙ্গে থাকা ব্যাটে একটি পানির বোতল রাখি। কিন্তু সাবধান! এ ভুল আর করা যাবে না। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ব্যাগে করে পানির বোতল নিয়ে ঘুরেন তাদের বোতলে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ সাধারণ জীবাণুযুক্ত পানির চেয়েও বেশি।

আপনি যখন গরম পানি দিয়ে প্লাস্টিকের বোতলটি পরিষ্কার করবেন তখন প্লাস্টিক থেকে রাসায়নিক দ্রব্য বেরিয়ে ভেতরের পানিতে মিশে যেতে পারে। আর তা আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতির কারণ হবে।

আবার আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা প্লাস্টিকের বোতলে মুখ লাগিয়ে পানি পান করেন। এটা কিন্তু আরও মারাত্মক।

গবেষকরা বলছেন, বোতলের যেখানে মুখ লাগানো হয় কিংবা মুখের খুব কাছে আসে সেখানে খাদ্যে বিষক্রিয়ার সৃষ্টিকারী জীবাণু তৈরি হয়। আর এই জীবাণু ফুড পয়জনিংয়ে সাহায্য করে।

অতএব পানিশূন্যতা দূরে রাখতে যে পানি আমরা প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে পান করছি সেই পানিই আপনার জীবনকে ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিতে পারে। তাই আজ থেকেই প্লাস্টিকের বোতল পরিহার করুন। খুব ভালো হয় যদি কাঁচের বোতল কিংবা মাটির পাত্রে রাখা পানি পান করতে পারেন।

আরও পঠিত খবর

জীবনে সাফল্য পাওয়ার জন্য যে ৩টি জিনিস সবচেয়ে দরকারি

জীবনে চলার বাঁকে আমরা কখনো না কখনো হতাশায় ভুগি। কখনো কাজের চাপে, কখনো চাকরি না …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *