নানা ধরনের অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের(জবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের চার বছর মেয়াদী স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ১ম বর্ষের ‘ইউনিট-১’ (বিজ্ঞান শাখা)-এর ভর্তি পরিক্ষা।
শনিবার(২৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়সহ পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে, বাংলাবাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ও ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে । সকাল শিফটের পরীক্ষা ১০:০০ থেকে ১১:৩০ পর্যন্ত এবং বিকাল শিফটের পরীক্ষা ৩:৩০ থেকে ৫:০০ পর্যন্ত চলে ।
পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কেন্দ্রগুলোতে বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশ ও চলাফেরা লক্ষ্য করা যায়। এসময় তাদের জিজ্ঞাসা করলে নিজেদের ছাত্রলীগ পরিচয় দেন। প্রথমে সাংবাদিকদের প্রধান ফটক দিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বাঁধা দান করলেও পরে ঢুকতে দেন। ভর্তি পরীক্ষার সকাল ও বিকালের সিফটে পরিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট সময়ের ২০-৩০ মিনিট পরেও ঢুকতে দেখা যায়। সহকারী প্রক্টর ড.মোস্তফা কামাল প্রধান ফটক নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব থাকলেও এ ব্যাপারে তার তৎপরতা দেখা যায়নি।
পরীক্ষার হল পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘সকল কাজেই কিছু না কিছু অব্যাবস্থাপনার ঘটনা ঘটে। এখানেও তার ব্যাতিক্রম নয়। তবে আমরা বিষয়টা নিয়ে কাজ করছি, আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে।’
পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে ভিসি বলেন, ‘যেহেতু লিখিত পরীক্ষা সেহেতু রেজাল্ট দিতে কিছুটা বিলম্ব তো হবেই। এক খাতা ১৮ জন শিক্ষক দেখবে সেটাও একটি কারণ। খাতা দেখা বা প্রশ্ন তারতম্য রোধে সকল শিক্ষকের কাছে একটি মডেল উত্তরমালা পাঠানো হবে যেন নম্বর দেওয়ার তারতরম্য না ঘটে।’
পরীক্ষার স্বচ্ছ্বতা নিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘আপনাদের আমি প্রশ্ন দিয়ে দিচ্ছি, বাংলাবাজার গিয়ে বই দেখে উত্তর দেন, দেখবেন পাশই করতে পারবেন না। এখানে প্রশ্ন ফাঁসের কোন সম্ভাবনাই নেই।’
এবার ‘ইউনিট-১’-এর ১১৭৮ টি আসনের বিপরীতে ২৬,৪১৪ জন শিক্ষার্থী লিখিত ভর্তি পরীক্ষার জন্য মনোনীত হয়েছিল । এর মধ্যে সকালের শিফটে ১৩,২৪১ জন এবং বিকালের শিফটে ১৩,১৬৪ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।