নানা রকমের ক্যান্সার থাকলেও স্তন ক্যান্সারের পরেই যে আতঙ্কের নাম সেটি হচ্ছে জরায়ু ক্যান্সার। আর এই রোগের প্রকোপ দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে।
জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীদের শুরুর অবস্থায় চিকিৎসা না করানোর ফলে তাদের বেঁচে থাকার হার ৫০% কমে যায়। আর যারা প্রথম থেকেই চিকিৎসা করান, তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ৯৫%।
অনেকেই মনে করেন, জরায়ু ক্যান্সার হয়তো প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পরে হয়ে থাকে। কিন্তু, এটি ভুল ধারণা। যে কোনো বয়সেই নারীদের জরায়ু ক্যান্সার হতে পারে। তবে বিশেষ করে ৫০ বছর বয়স্ক বা এর চেয়েও বেশি বয়সের নারীরা জরায়ু ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন।
জরায়ু ক্যান্সারকে ‘সাইলেন্ট কিলার’ বলা হয়ে থাকে। সুস্থ থাকতে এই অসুখের প্রাথমিক কিছু লক্ষণ সম্পর্কে জেনে রাখুন—
জরায়ু ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ:
. নিন্মাঙ্গের চারপাশে চাপ লাগা কিংবা ঘন ঘন মূত্রত্যাগ করা।
. গ্যাস, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য। হালকা খাবারের পর পেট ভর্তি লাগা, পেটে অস্বস্তি লাগা ইত্যাদি।
. পেটে অতিরিক্ত ব্যথা কিংবা পেট ফুলে থাকা।
. সারা ক্ষণ বমি বমি ভাব কিংবা বার বার বমি হওয়া।
. আচমকা খিদে কমে যাওয়া।
. অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পাওয়া বা হঠাৎ করে ওজন অনেক কমে যাওয়া।
. যৌন মিলনের সময় ব্যথা লাগা।
. অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ করা।
. নারীদের মেনোপজ হওয়ার পরেও ব্লিডিং হওয়া।