গরমে প্রাণ অতিষ্ঠ। দিনের বেলায় বাইরে বের হলেই ঘামে ভিজে যাচ্ছে শরীর। কেবল দিনে নয়, সন্ধ্যায় বা রাতে ঘরে বসেও ঘামতে হচ্ছে গরমে। গরমে দেহ ঠান্ডা রাখতে স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় ঘামের সৃষ্টি হয়। তবে এ কারণে শরীরে পানিশূন্যতাও দেখা দেয়।
পানিশূন্যতা দূর করতে বেশি বেশি পানি পান করার কোনো বিকল্প নেই। তবে কেবল পানি পান করেই গরমের দিনে শরীর সুস্থ রাখা সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন প্রচুর পানি আছে এবং সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়া। কী খাবেন এই গরমে
বিশুদ্ধ পানি
প্রচলিত আছে দৈনিক আট গ্লাস পানি পান করলে শরীর সুস্থ থাকে। তবে নিয়ম করে অনেকের পক্ষে আট গ্লাস পানি পান করা সম্ভব হয় না। সে ক্ষেত্রে তৃষ্ণা মেটাতে যতটা পারেন পানি পান করুন। তবে খেয়াল রাখতে হবে পানি যেন বিশুদ্ধ, জীবাণুমুক্ত ও পানযোগ্য হয়।
শসা বা ক্ষীরা
শসায় রয়েছে ৯৬ দশমিক ৭ শতাংশ পানি। এই গরমে শসার সালাদ রাখুন প্রতিবেলায়। শসার সঙ্গে ধনেপাতা মেশালে স্বাদ বাড়বে। পাশাপাশি ননিবিহীন দুধের তৈরি দই, পুদিনাপাতা আর বরফ ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে জুস তৈরি করতে পারেন। এই জুস আপনার শরীর সতেজ রাখবে ও তৃষ্ণাও মেটাবে।
লেটুস
লেটুসে আছে ৯৫ দশমিক ৬ ভাগ পানি। যেকোনো একবেলার খাবারে লেটুস রাখার চেষ্টা করুন। লেটুস দিয়ে চমৎকার চিকেন সালাদ তৈরি করা যায়। বাচ্চাদের টিফিনেও স্যান্ডউইচের সঙ্গে লেটুস দিতে পারেন।
টমেটো
টমেটোতে রয়েছ ৯৪ দশমিক ৫ ভাগ পানি। এ ছাড়া এতে প্রচুর ভিটামিন-সি, লাইকোপেন, ক্যারোটিন, রিবোফ্লোবিন, ক্যালসিয়াম ও লোহা থাকে। টমেটোর জুস কিংবা সালাদ দুই সুস্বাদু। এ ছাড়া রান্নার পরও টমেটোর পুষ্টিগুণ কমে না। তাই গরমের সময় টমেটোর স্যুপ কিংবা ঝোল খেতে পারেন।
তরমুজ
তরমুজে রয়েছ ৯১ দশমিক ৫ ভাগ পানি। এতে রয়েছে ক্যানসার–প্রতিরোধী উপাদান লাইকোপেন। প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ লবণে সমৃদ্ধ এই ফল গরমে স্বস্তি দেয়।