বিশ্বায়নের এ যুগে জীবন যেন এক যন্ত্র। কাজ আর চিন্তায় জীবন যেন অস্থিরতার নাম। মানুষ যেন সারাক্ষণ-ই কীসের পেছনে ছুটছে। ব্যস্ততা দিন দিন জীবনকে যেন অসহনীয় ও কঠিন করে তুলছে। পারিবারিক, সামাজিক ও কর্মস্থলের প্রভাবে জীবন কখনও হয়ে উঠছে অসহনীয়। তবে জীবনের এ ব্যস্ততা ছাড়তে না পারলেও কৌশলে জীবনকে সহজ করে তুলতে হবে ও একে সহজভাবে নিতে হবে। এজন্য জীবনযাপনে কিছুটা পরিবর্তন আনতে হবে ও কৌশলী হতে হবে। সে ক্ষেত্রে নিচের কয়েকটি উপায় অবলম্বর করা যেতে পারে।
বিদেশ গমন: জীবনের নানা জটিলতায় যদি আপনি আক্রান্ত হয়ে যান তাহলে কয়েক বছরের জন্য বিদেশে যেতে পারেন। এটি আপনার অস্বস্তিকর চাকরি কিংবা বিরক্তিকর সম্পর্কের জটিলতাগুলো দূর করবে এবং জীবনকে নতুন করে উপভোগ করার সুযোগ তৈরি করে দেবে। এরপর আবার দেশে ফিরে এসে সবকিছু নতুন দৃষ্টিতে দেখতে পারবেন।
স্মার্টফোন থেকে বিরতি নিন: বর্তমানে প্রায় সবাই প্রতিনিয়ত স্মার্টফোনের মাধ্যমে অনলাইনে ক্রমাগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, ইমেইল ও ক্ষুদে বার্তায় ব্যস্ত দিন কাটান। এছাড়া রয়েছে অনলাইনে গেমস ও সময় ব্যয় করার অন্যান্য উপকরণ। যদিও এটি মানুষকে ক্রমাগত ব্যস্ত রাখে, স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটায় এবং জীবনকে জটিল করে তোলে। তাই স্মার্টফোন থেকে কিছু সময়ের জন্য বিরতি নেওয়া হলে তা যথেষ্ট স্বস্তি দিতে পারে।
গোছালো হোন: আপনার কর্মস্থল কিংবা বাড়ি, সবখানেই জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখুন। অগোছালো জিনিসপত্র আপনার মনের শান্তিও নষ্ট করবে। তাই গোছালো হয়ে উঠুন।
ছোট ছোট মুহূর্ত উপভোগ করুন: উপভোগ করার জন্য বড় কোনো ঘটনার আশা করা বোকামি। তাই প্রতিদিনের ছোট ছোট মুহূর্ত উপভোগ করুন। সূর্যাস্ত, শিশু ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দারুণ সময় কাটানো, সঙ্গীত শোনা, মজার খাবার ইত্যাদির মাধ্যমেও মুহূর্তগুলো উপভোগ্য করে তোলা যায়।
বাড়ি পরিষ্কার করুন: নির্দিষ্ট সময় অন্তর আপনার বাড়ি ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। পুরনো অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সব ফেলে দিন। অপ্রয়োজনীয় জিনিসের সঙ্গে সঙ্গে আপনার মনকেও হালকা করার চেষ্টা করুন। অল্প জিনিসেই জীবনধারণের চেষ্টা করুন।
প্রয়োজনীয় জিনিসের তালিকা করুন: আপনার প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের একটি তালিকা করুন। আপনার কাছে নিশ্চয়ই এমন বহু জিনিস রয়েছে, যার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। এসব অপ্রয়োজনীয় জিনিস যেন আর না কেনা হয় সেজন্য সতর্ক হয়ে যান।
সাইকেল চালান: সাইকেল আপনার বিভিন্নভাবে উপকার করতে পারে। সাইকেল চালানো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এটি যেমন পরিবেশবান্ধব তেমন এর তেল খরচ, ইন্সুরেন্স, রোড পারমিট ইত্যাদিরও প্রয়োজন হয় না। এছাড়া সাইকেল চালালে আর্থিকভাবে যেমন সাশ্রয় হবে তেমন অন্যান্য পরিবহনের মুখাপেক্ষিও থাকতে হবে না।
‘না’ বলতে শিখুন: না বলা প্রায়ই অত্যন্ত কঠিন একটি কাজ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু নানা ঘটনার প্রেক্ষিতে না বলে দেওয়া কখনো কখনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এ কাজটি সহজ না হওয়ায় এজন্য অনুশীলন করা উচিত। বিষয়টি আয়ত্ব করতে পারলেই জীবন অনেকাংশে সহজ হয়ে যাবে।