গণফোরাম সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের মূল উদ্যোক্তা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে গণভবনে গিয়েছিলাম। আমাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপ ছিল। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার মতো আমরা সেখানে ছিলাম। আমাদের নেতারা সবাই বক্তব্য দিয়েছে। তারা তাদের নানা ধরনের অভিযোগের কথা বলেছেন। সরকারের বিভিন্ন বিষয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী বেশ লম্বা বক্তব্য দিয়েছেন। তবে আমরা সে বক্তব্যে বিশেষ কোনো সমাধান পাইনি।’
বৃহস্পতিবার(১ নভেম্বর)রাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপ শেষে ড. কামাল হোসেন তার বেইলি রোডের বাসায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সভা সমাবেশের বিষয়ে একটি ভালো কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী কথা বলবেন।’
সভা-সমাবেশের বিষয়ে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ঢাকাসহ সারাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর সভা সমাবেশ করতে কোনো বাধা থাকবে না। তিনি সেটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলে দিয়েছেন। সভা সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন, সংলাপের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী সূচনা বক্তব্য দিয়েছেন। এরপর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি উত্থাপন করেছেন।
এসময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা আলোচনায় সন্তুষ্ট নই। প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক মামলার তালিকা চেয়েছেন।’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কোনো কথা হয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী কোনও সুনির্দিষ্ট কথা বলেননি।’
সংলাপ নিয়ে বিএনপি আশাবাদী কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি খুব সন্তুষ্ট নই। আমরা তফসিলের ব্যাপারে বলেছি। তিনি বলেছেন, তাদের দেওয়ার এখতিয়ার নেই। তফসিল দেওয়ার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের।’