সরকারের আচরণের প্রতিবাদ জানাতে রাজপথে নামতে না পেরে হতাশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ হতাশা প্রকাশ করে নিজেকে ‘ধিক্কার’ দেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর ৪৯তম জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা এখনো কেন ঘর থেকে বের হতে পারি না? কেন আমরা এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথের ইট, কাঠ, কংক্রিটের ধুলা উড়িয়ে দাঁড়াতে পারি না? সেটা ভাবলে নিজেই নিজেকে ধিক্কার দেই।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আজ সারা জাতি অবরুদ্ধ। কচিকচি বাচ্চাদের যেভাবে রক্তাক্ত করা হয়েছে, তাদের রক্তমাখা কেডস ও শার্ট দেখলে কার না হৃদয় ভেঙে যাবে! অথচ এসব অপকর্মও করেছে এই পাষণ্ড সরকার। প্রধানমন্ত্রী হামলাকারীর দেখতে যান। কিন্তু, যারা আক্রান্ত, সেই স্কুলপড়ুয়া বাচ্চাদের দেখতে যান না। এমন নিষ্ঠুর দেশে আমরা এখনো বাস করছি।’
তিনি বলেন, ‘আজ খালেদা জিয়া কারাগারে, তাকে মুক্ত করতে হবে। কারণ, তার মুক্তির মাধ্যমে একজন ব্যক্তির মুক্তি হবে না, গোটা দেশ ও জনগণ মুক্তি পাবেন।’
অনুষ্ঠানে প্রয়াত কোকোর স্মৃতিচারণ করে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আরাফাত রহমান কোকো নীরবে-নিভৃতে চলাফেরা করতেন। সবার সঙ্গে আন্তরিক ছিলেন। কিছু বললে বিনয়ের সঙ্গে কথা বলতেন। তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। এই ছেলেটির পৃথিবী থেকে চলে যাওয়ার কথা নয়। মায়ের ওপর জুলুম দেখে তিনি পৃথিবী থেকে চলে গেছেন।’
দোয়া মাহফিলে মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির মহিলাবিষয়ক সম্পাদক নূরে আরা সাফা, ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা দলের সভানেত্রী পিয়ারা মোস্তফা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভানেত্রী রাজিয়া আলিম, সাবেক এমপি রওশনারা ফরিদ প্রমুখ।
আগামী ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে কারামুক্তি ও রোগমুক্তি কামনায় সারা দেশে জেলা ও উপজেলায় দোয়া মাহফিল হবে বলে জানান রুহুল কবির রিজভী।
এছাড়া, ঈদুল আজহার দিনে সকাল সাড়ে ১১টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির সিনিয়র নেতারা জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করবেন বলেও জানান তিনি।