সন্তানের জন্মের পর থেকেই তাকে সঠিকভাবে বড় করে তোলা অভিভাবকদের মূল লক্ষ্য। কিন্তু অনেক সময় সন্তান-পালনে এমন কিছু ঘাটতি থেকে যায়, যার রেশ ধরে সন্তান মনের মতো হয়ে উঠতে পারে না। অথচ, তার বেড়ে ওঠার সময় কিছু নিয়ম মানলেই সন্তান হয়ে ওঠে অধিক বুদ্ধিমান ও চটপটে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই উপায়গুলো কি –
সন্তানকে অধিকতর বুদ্ধিমান বানাতে চাইলে যা করতে হবে
* সন্তানের মধ্যে সৃজনশীলতা বাড়াতে তাকে টেলিভিশন থেকে দূরে রাখুন। ভারতীয় বিশেষজ্ঞ অম্লান দত্তর মতে, শিশুরা টিভি দেখতে পছন্দ করে বলে আমরাও সেটা বারণ করি না। টেলিভিশনের চেয়ে যে কোনও ছড়ার বা গল্পের বই তাদের মনে অনেক প্রভাব ফেলে। এগুলো কল্পনাশক্তি বাড়ায় ও নতুন শব্দ শিখতে সাহায্য করে।
* জন্মের পর যত দ্রুত সম্ভব তাকে ঘন হলুদ দুধ (কলোস্ট্রাম) পান করান। এ ছাড়াও অন্তত দু’ বছর মাতৃদুগ্ধকে তার খাদ্য তালিকায় সবচেয়ে উপরের সারিতে রাখুন। শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে, শিশুর বুদ্ধির বিকাশে মাতৃদুগ্ধের ভূমিকা অপরিসীম।
* শিশুর মানসিক বিকাশে সবচেয়ে বেশি কার্যকর মা-বাবার সঙ্গ। তাকে সক্রিয় ও চটপটে করে তুলতে ঘন ঘন তার সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ান। তাকে পর্যাপ্ত সঙ্গ দিন। ছোট থেকেই খেলার ছলে মজার ছড়া, নামতা, প্রচলিত গল্প, গান ইত্যাদি শোনাতে থাকুন।
* শিশুর বিকাশে কিন্তু অত্যন্ত জরুরি ভূমিকা পালন করে তার চারপাশের প্রকৃতি। মানুষ ছাডা়ও গাছপালা, পশু-পাখির সঙ্গে মিশতে দিন তাকে। বাড়িতে যদি পোষ্য না-ও থাকে, সন্তানকে নির্ভয়ে মিশতে দিন চারপাশের পশু-পাখির সঙ্গে। পশু-পাখিদের প্রতি মমত্ব, তাদের সঙ্গে খেলা এসব তাকে সুন্দর মনের অধিকারী করবে।
* ছেলেবেলা থেকেই সন্তানের শব্দের সংগ্রহ বাড়ানোর দিকে নজর দিন। ইংরেজির সঙ্গে তার মাতৃভাষার প্রতিও আগ্রহ তৈরি করুন। ওয়ার্ড বুক সে ক্ষেত্রে কাজে আসবে। পড়তে না শেখা অবধি আপনিই তার সামনে সঠিক উচ্চারণে সে সব পড়ুন। শিশুর কান নতুন নতুন শব্দ শিখতে আগ্রহী হয়। উচ্চারণ শিখতেও এই উপায় অত্যন্ত কার্যকর।
* পাড়া-প্রতিবেশী থেকে শুরু করে বন্ধুবান্ধবের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিক সে। আর এই বিষয়ে আপনিই হয়ে উঠতে পারেন ওর দৃষ্টান্ত। নিঃস্বার্থভাবে অন্যের উপকারের সুফল ওকে শেখান ছোট থেকেই। এতে শিশু বড় মনের অধিকারী হবে সহজেই।