৭-৮ মাস বয়সে বা-দা-মা ইত্যাদি অর্থহীন শব্দ উচ্চারণের মাধ্যমে শিশুর মুখে প্রথম বোল ফোটে। এরপর ক্রমে ভাষাজ্ঞান অর্জনের ধাপগুলো বিকশিত হয়। জীবনের প্রথম ৩ বছর কথা ও ভাষা বিকাশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। শ্রবণপ্রতিবন্ধিতা, অটিজম, ঠোঁটকাটা-তালুকাটাজাতীয় সমস্যা কথা বলার বিকাশে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
শিশুর কথা বলার নৈপুণ্য অর্জনে মা-বাবার ভূমিকা অনেক। শিশুর কথা শেখার সময় আপনি যেভাবে সাহায্য করতে পারেন।
১। প্রতিদিন শিশুকে কিছুটা সময় দিতে চেষ্টা করুন। তার যেকোনো কথার প্রতি আগ্রহ দেখান। শিশু কিছু বলতে চেষ্টা করলে উৎসাহিত করুন।
২। খেলা ও ছবির বই দিয়ে শিশুকে শেখান; যেমন বলের ছবি দেখিয়ে ‘এটি বল’ বলুন।
৩। শিশুরা সাধারণত ছন্দ ও সংগীত ভালোবাসে। তাই ছড়াগান, ছড়া, কবিতা, গানের মাধ্যমে খেলা করতে শেখান।
৪। শব্দ হয় এ ধরনের খেলা যেমন—পুতুল, ঝুনঝুনি, গাড়ি ইত্যাদি দিয়ে খেলতে খেলতে এ সম্পর্কে বলুন।
৫। বাইরের পরিবেশের সঙ্গে পরিচিত হতে দিন। যেমন—রাস্তায় গাড়ি, আকাশে বিমান, পার্কে গাছপালা, মাটিতে পড়ে থাকা পাতা দেখিয়ে পরিচয় করিয়ে দিন।
৬। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস যেমন—থালা-বাসন, গ্লাস-চামচ ইত্যাদির সঙ্গেও পরিচিত করান। খাওয়ার সময় শিশুকে কী খাওয়াচ্ছেন, খেতে কেমন স্বাদ সে সম্পর্কেও কিছু বলুন।
৭। ইশারার চেয়ে মুখে চাইতে শেখান। যেমন—শিশু যদি হাত দিয়ে বেলুন দেখায়, আপনি বলবেন—এটা হলো বেলুন, তুমি কি বেলুন চাও?
৮। দুই বছরের কম বয়সী শিশুর টেলিভিশন না দেখাই ভালো। দুই থেকে ছয় বছর বয়সে কেবল ২ ঘণ্টার জন্য মা-বাবার সঙ্গে বসে বোধগম্য ভাষার অনুষ্ঠান দেখবে।
বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।