নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার পরিবেশ সৃষ্টিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের সংলাপের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের নীতিগত অবস্থান পরিষ্কার। সাম্প্রদায়িক কোনো অ্যালায়েন্সের (জোট) সঙ্গে সংলাপে যাবে না তারা।’
শনিবার (২০ অক্টোরব) দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশে এমন কোনো পরিস্থিতি নেই, যার কারণে সংলাপের টেবিলে বসতে হবে। আমাদের পরিষ্কার বক্তব্য, ঐক্যফ্রন্টের নামে যে অ্যালায়েন্স হয়েছে সেটা সাম্প্রদায়িক শক্তির একটি অ্যালায়েন্স। এই সাম্প্রদায়িক অ্যালায়েন্সের সাথে হবে আওয়ামী লীগ নীতিগতভাবে কোনো সংলাপ করতে রাজি নয়।’
এদের দেশের মানুষের ওপর কোনো আস্থা নেই। আস্থা থাকলে অ্যালায়েন্স করে প্রথম তারা বিদেশিদের কাছে যেত না বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
ড. কামাল হোসেনের ঐক্যফ্রন্টের রাজনৈতিক উদ্দেশ বিদেশিদের কাছেও পরিষ্কার নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এখন বিদেশিরা প্রশ্ন করছে কে হবে প্রধানমন্ত্রী? যদি তারা জেতে তাহলে কে হবে তাদের নেতা? যদি তারা নির্বাচনে যায়? তারা পরিষ্কার করতে পারেনি! কাজেই তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।’
নারী সাংবাদিক সম্পর্কে ব্যারিস্টার মইনুলের মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘যে মইনুল আপনার নারীকে বলে চরিত্রহীন সে মইনুলের কথা কেন তুলছেন। আমরা হুট করে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তবে আমরা এতটুকু বুঝি- এদের উদ্দেশ ক্ষমতায় যাওয়া না যাওয়া নয়; এদের উদ্দেশ শেখ হাসিনাকে হটানো, ক্ষমতার মঞ্চ থেকে শেখ হাসিনাকে সরানো। এই যদি তাদের লক্ষ্য হয়, নির্বাচন ঘিরে তাদের অনেক ষড়যন্ত্র, অনেক নাশকতার পরিকল্পনা রয়েছে, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. দীপু মানি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।