ডেঙ্গু জ্বর, যা ব্রেকবোন ফিভার নামেও পরিচিত। এটি একটি সংক্রামক ট্রপিক্যাল ডিজিজ। এই জ্বরের উৎপত্তি ডেঙ্গু ভাইরাসের মাধ্যমে এবং এই ভাইরাসবাহিত এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার কামড়ে হয়ে থাকে। সাধারণত মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস, বিশেষ করে গরম ও বর্ষার সময় ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেশি থাকে।
ডেঙ্গু জ্বরের প্রাথমিক ও মূল লক্ষণ জ্বরই। এই জ্বরের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটা যেহেতু একটি ভাইরাস জ্বর, এই জ্বরের প্রথম থেকেই অত্যধিক মাত্রার জ্বর ওঠে যায়। দেখা যায়, প্রথম দিন থেকে ১০২/১০৩/১০৪ বা ১০৫ ডিগ্রি পর্যন্ত জ্বর উঠে যেতে পারে।
আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো অন্যান্য জ্বর প্রথম থেকেই একটু ওঠানামা করে। যেমন ধরুন, টাইফয়েড জ্বর বা নিউমোনিয়ার জ্বর। দেখা যায়, জ্বর একটু উঠল বা সন্ধ্যার দিকে জ্বর একটু নেমে এলো। তবে ডেঙ্গু জ্বরের বৈশিষ্ট্য হলো শুরু থেকে অত্যন্ত উচ্চ মাত্রায় চলে যায় এবং কখনো ওষুধ না খেলে বা প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ না খেলে জ্বরটা নামবে না।
এই জ্বরের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো এটি স্বল্পমেয়াদি হয়। স্বল্পমেয়াদি জ্বরের বাংলাদেশে প্রধান কারণ ডেঙ্গু জ্বর। স্বল্পমেয়াদি বলতে চার থেকে পাঁচ দিন বা এক সপ্তাহ। ওই জ্বর যদি এ সময়ের বাইরে চলে যায়, তাহলে আপনি ধরে নেবেন এটি ডেঙ্গু জ্বর নয়। তাহলে আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন যে অন্য কোনো কারণে আপনার এই জ্বরটা হলো কি না।
তাহলে কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য দেখলেন, অত্যধিক মাত্রায় জ্বর আসে, জ্বর সহজে নামে না, আর স্বল্পমেয়াদি জ্বর হয়। আর জ্বরের সঙ্গে আরো কিছু উপসর্গ খুব প্রচলিত যেমন- আপনার সারা শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা, ম্যাজম্যাজ করা, এর পর ডেঙ্গু জ্বরে বমির ভাব থাকে, এমনকি বমিও হতে পারে। অনেক সময় খাবারে অরুচি থাকে।
অনেকের আবার জ্বরের সঙ্গে শরীরে লাল দাগ পড়তে পারে। একে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় র্যাশ বলে। সেই র্যাশের সঙ্গে রোগীর শরীরে চুলকানিও চলে আসতে পারে।