বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ দলের প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীরউত্তমের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
যুবদলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চট্রগ্রামে জনসভার অনুমতি আমরা এখন পর্যন্ত পায়নি। যদিও কিছুক্ষণ আগে সেটির অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একতরফা ভাবে নির্বাচন করতে চায়। অন্যান্য দল যাতে নির্বাচনে না আসে, সেই ব্যবস্থা করছে তারা। আর ৫ জানুয়ারির মত আরেকটা নির্বাচন করে তারা ক্ষমতায় যেতে চায়।’
মির্জা আলমগীর বলেন, ‘গত কয়েক বছরে আওয়ামী লীগের লক্ষ্যটা হচ্ছে যে, বিরোধী দলগুলোকে বাইরে রেখে তারা নির্বাচনে যেতে চায়। এজন্য বাংলাদেশের গণতন্ত্রে যার (বেগম খালেদা জিয়া) অবদান সবচেয়ে বেশি তাকে জেলে নিয়েছে এবং বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারারুদ্ধ করছে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান ক্ষমতাসীনরা দেশে পুরোপুরিভাবে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত করেছে। তাদের লক্ষ্যই হচ্ছে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করা। সেই লক্ষ্যই তারা চলছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বলেছি, নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ। সরকার যা চাইছে, তারা তাই করছে। এই নির্বাচন কমিশনের অধিনে যে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, তা আমরা বারবার বলেছি। এটা শুধু বিশ্বাসের কথা নয়, এটাই বাস্তবতা। সুতরাং বর্তমান নির্বাচন কমিশন কখনোই একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সক্ষম হবে না।’
বিএনপিতে ১/১১’র সংস্কারপন্থি নেতাদেরকে ফেরানোর বিষয়ে জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, ‘যারা দলের বাইরে ও নিস্ক্রিয় ছিলো, তাদের ভূমিকা পালন করার জন্যই সক্রিয় করা হচ্ছে দলের সিদ্ধান্ত অনুযারী।’
এসময় আরও উপস্তিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরজাতুল করিম বাদরু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়নসহ যুবদলের কয়েক হাজার নেতাকর্মী।