শীতের উষ্ণতায় দিনের যে কোনো সময় এক কাপ ধোঁয়া ওঠা কফি এনে দেয় ঝরঝরে অনুভূতি। কফি যেমন শরীর চাঙা করে তোলে তেমনি কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। শহরের জীবনে পানীয় হিসেবে কফি বেশ জনপ্রিয়। কাজের ফাঁকে কিংবা সন্ধ্যার আড্ডায় ক্যাপুচিনো এখন অনেকেরই জীবনের অংশ। কফি পান আপনার শরীরে মনের উপর বেশ প্রভাব ফেলে। যেমন-
কফিতে মনোদ্দীপক উপাদান থাকে বলে কফি পানে মানসিক চাপ অনেকটাই কমে যায়। কফিতে ক্যাফেইন থাকে বলে কফি রক্তচাপ কমাতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
নিয়মিত কফি পানে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। যারা সব সময় মাথা ব্যথা সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য কফি বেশ উপকারী। কেননা আমাদের স্নায়ুগুলো যখন বিভিন্ন কারণে দুর্বল হয়ে পড়ে তখন মাথা ব্যথা অনুভূত হয়। কফি পানে স্নায়ুগুলো সক্রিয় হয়। এতে মাথা ব্যথাজনিত সমস্যা দূর হয়। দুধ চিনি দিয়ে তৈরি কফি কম বেশি সবাই পছন্দ করেন।
কিন্তু স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি প্রতিবেদনে বলা হয় মন ও শরীর ভালো রাখায় কালো কফির গুরুত্ব অনেক। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও পুষ্টিমানে সমৃদ্ধ থাকায় শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।
কফি দিনে ২-৩ বার গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে কফিতে ক্যাফেইন থাকে বলে অতিরিক্ত গ্রহণে কিছু অপকারী দিক রয়েছে। যেমন- আসক্তি তৈরি হওয়া, ক্ষুধামন্দা হওয়া, ঘুম নষ্ট হওয়া, আলসার বা গ্যাস্ট্রাইটিস তৈরি হওয়া, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হওয়া ইত্যাদি। গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ করা একদমই উচিত নয়। তাই কফির গুণাগুণ পেতে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে গ্রহণ করাই উত্তম। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও মানসিক চাপ কমে আসবে এবং কফি পানের উপকার পাওয়া যাবে।
-ডা. তানজিয়া নাহার তিনা
চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ