Breaking News
Home / রাজনীতি / এমন শাস্তি পাবেন যা কল্পনাতীত: সরকারকে ড. কামাল

এমন শাস্তি পাবেন যা কল্পনাতীত: সরকারকে ড. কামাল

অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবি জানিয়ে সরকারের উদ্দেশ্যে গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন সবাই চায়। জনগণ হাত তুলে রায় দিয়েছে সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত অমান্য বা উপেক্ষা করলে, যে শাস্তি আপনারা পাবেন তা কল্পনাও করতে পারবেন না।’

সরকারের প্রতি ইঙ্গিত করে ড.কামাল হোসেন আরও বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাওয়ার ব্যাপার না, এটা তো হওয়ার কথা। আর কত চাওয়া হবে? চাইতে চাইতে তো মানুষ বিরক্ত হয়ে গেছে। খালেদা জিয়ার মুক্তি অবশ্যই হোক। যদি তাঁকে মুক্তি দেয়া না হয় তবে জবাবদিহি আদায় করবো, শাস্তি দেয়া হবে। বিচার হবে।’

শনিবার (২৭ অক্টোর) চট্টগ্রামে নসিমন ভবনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ঐক্যফ্রন্টের জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত যত অন্যায় করেছেন সব কিছুর জবাবদিহি করতে হবে। জনগণ সকল ক্ষমতার মালিক। লালদীঘি মাঠে জনসভার অনুমতি না দিয়ে মালিকদের কষ্ট দিয়েছে সরকার। এজন্য সরকারকে কৈফিয়ত দিতে হবে। সঠিক কৈফিয়ত না পেলে সকলকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’

প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, ‘লালদীঘি কারো পৈত্রিক সম্পদ নয়। লালদীঘি মাঠে জনসভা করার অনুমতি না দেয়ার পেছনে যারা জড়িত ছিল তাদেরকে খুঁজে বের করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার একটার পর একটা অসাংবিধানিক কাজ করে যাচ্ছে।
অসাংবিধানিক কাজ করে বর্তমান সরকার সাংবিধানিক শপথ ভঙ্গ করেছে। শপথ ভঙ্গকারীদের বিচার করে তাদেরকে শাস্তি দেয়া হবে।’

এই ঐক্যফ্রন্ট নেতা বলেন, ‘এ সরকারের সকল অপকর্মের বিচার একদিন না একদিন বাংলার মাটিতে হবে। বাংলাদেশ তাদের পৈত্রিক সম্পদ না। দেশের মালিক জনগণ। মালিক এবার সচেতন হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘জনগন সকল বাধা উপেক্ষা করে নুর আহমদ সড়কের ছোট একটি জায়গায় ৪ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে কষ্ট করেছে। আমি বেঁচে থাকলে জনগণকে কষ্ট দেয়ার অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করে শাস্তির ব্যবস্থা করবো। জনসভা করার মৌলিক অধিকার নাগরিক হিসেবে জনগণের আছে।’

ড. কামাল বলেন, ‘আমরা স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চাই।’

এসময় তিনি ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

গণফোরাম সভাপতি বলেন, ‘জনগণ এ সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। জনগণের রায় মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই। জনগণের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করলে শাস্তি পেতে হবে। প্রতিদিন জনগণের অধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে। এ অবস্থা আর চলতে দেয়া হবে না।’

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা.শাহাদত হোসেনের সভাপতিত্বে এবং মহানগর বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এস এম সাইফুল, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় জনসভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাস, জেএসডির সভাপতি আ সম আব্দুর রব, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসিন মন্টু, কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, জেএসডির সহ-সভাপতি তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, মো.শাজাহান, মীর নাসির, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, আবুল খায়ের ভূইয়া, গোলাম আকবর খন্দকার, সুকোমল বড়ুয়া, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা সুলতান মোহাম্মাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পঠিত খবর

নির্বাচন পেছানোর দাবি ঐক্যফ্রন্টের, ‘জানাব’ বলেছে ইসি

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তিন সপ্তাহ পেছানোর দাবি জানিয়েছেন বিএনপি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *