স্কুল জীবন থেকে সংগ্রামী এক জীবন পার করে আসছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সুহেল ইসলাম । বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার ছেলে সে , আটোয়ারী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও উক্ত উপজেলার মির্জা গোলাম হাফিজ ডিগ্রী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে জিপিএ ৫ সহ উর্ত্তীর্ণ হয় সে ।
মাধ্যমিকে থাকার সময় তার মেধা ও অধ্যাবসায় দেখে স্কুলের স্যারেরা তাকে বিনা বেতনে প্রাইভেট পড়াত । তার স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঢাকায় ২০১৩সালে এসে বনানীতে এক প্রাইভেট কোম্পানিতে পিয়নের কাজ করত সুহেল। সেখান থেকে কোচিং করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৭২তম হয় সে, পড়ছে ইংরেজি বিভাগে।
এ পি এম সুহেল বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং এর সময় পিয়নের কাজ করতেন ।
অজপাড়া গ্রামের দরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠা সুহেল ইসলামের বাবা ছিলেন সামান্য একজন ব্যবসায়ী,মা একজন গৃহিনী ।দীর্ঘ ৬বছর প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে থাকার পর গত বছর তার বাবা হৃদ রোগে আক্রান্ত পরলোক গমন করেন । বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির সময় নিজেদের দেড় শতক জমি বিক্রি করে সেই টাকায় ভর্তি হয়।এরপর থেকে বাসা থেকে কোনদিন আর টাকা নেয় নি।বিভিন্ন কোচিং এ ক্লাস নিয়ে, টিউশনি করে নিজে চলত, বাসায় টাকা দিত।
ছোটভাইকে পড়াশোনার খরচ দিত।
ছোটভাই এইবারের এস.এস.সি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এ প্লাস পেয়েছে। সে সুয্যগ পেলেই অসহায়দের সাহায্য কর্ত। জগন্নাথে ৩জন ছেলের ভর্তির বিষয়ে সে সাহায্য করেছে। ঢাবিতে ইতিহাস বিভাগে এবার এক ছেলেকে ভর্তি করুয়েছে। প্লাস তার বৃত্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছে ঈদে জামাকাপড় দিত অসহায়দের
জাহাঙ্গীরনগর এর অর্কের জন্য ক্যাম্পাস থেকে ৩০হাজার টাকা তুলে দিয়েছিল। কাজ করেছে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অসহায় শিক্ষার্থীদের জন্য। তাদের টিউশনি কচিং পার্ট টাইম জব ম্যানেজ করে দিত সে।
আজ বিকেলে সংগ্রামী এই ছেলেটির উপর হত্যা চেষ্টার উদ্দেশ্যে তার নিজ ক্যাম্পাস জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে একদল সন্তাসী হামলা চালায় । গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে আজগর আলী হাসপাতালে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয় ।