Home / BCS / বিসিএস ভাইভায় ভালো করার উপায়?

বিসিএস ভাইভায় ভালো করার উপায়?

বিসিএস ভাইভায় ভালো করার উপায়? 

ভাইভার শুরুতেই কিছু কমন প্রশ্ন করবে।

ইহার উদ্দেশ্য দুটোঃ

১। প্রার্থীকে ভাইভা বোর্ডের পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য ৩-৪ মিনিট সময় দেয়া ।

২। প্রার্থী সম্পর্কে ভাইভা বোর্ডের প্রাথমিক ধারণা নেয়া ।

তাই, এই সব কমন প্রশ্নের উত্তর আগে থেকেই সুন্দর করে রেডি করে বার বার প্র্যাকটিস করা উচিৎ। বার বার প্র্যাকটিস করলে একটা সাবলীল ভাব আসবে ভাইভা বোর্ডে।

এতে আপনার সুবিধা হবে দুটোঃ

১। আপনি এইসব জানা কমন প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে ভাইভা বোর্ড সম্পর্কে অজানা ভীতি কিংবা অস্থিরতা কিছুটা কাটিয়ে উঠে সহজ হয়ে নিতে পারবেন এই ৩-৪ মিনিটে

২। ভাইভা বোর্ড ও আপনার সাবলীল উত্তর করা দেখে শুরু থেকেই একটা পজিটিভ ধারণা নিতে পারবে !

আরও জেনে নিন – বিসিএস ভাইভার জন্য যেভাবে প্রস্তুতি নিবেন 

কমন প্রশ্ন গুলো কি কি?

১। What is your name? Tell me the meaning of your name.

২। Introduce yourself please.

৩। What is your birth date? Tell me some important events that were occurred or about famous persons who was born or died on your birth-date.

৪। Tell me about your Upazila, Zilla– Important River, Persons, Incidents related to Liberation War etc.

৫। Tell us about the history and other important features about your school, college, university, university hall etc.

৬। Why you want to be a BCS Cadre?

৭। ভাইভা বোর্ডে আসার আগে ভাইভার জন্য কি কি বই পড়েছেন?

কমন প্রশ্ন গুলো শেষ হয়ে গেলেই শুরু হবে আপনার প্রথম চয়েজ সম্পর্কে প্রশ্ন।
যেমন-

১। Why is this your 1st choice?

২। How will you connect your 1st choice to your university major subjects?

এরপর ঐ ক্যাডার সম্পর্কিত বেসিক কিছু প্রশ্ন: 

প্রথম চয়েজ সম্পর্কে প্রশ্ন শেষ করার পর দ্বিতীয় চয়েজ নিয়েও করে থাকে। এর প্রশ্ন গুলোও হবে ঐ ক্যাডার সম্পর্কে বেসিক কিছু প্রশ্ন ।

আরও জেনে নিন – বিসিএস ভাইভার জন্য যেভাবে প্রস্তুতি নিবেন 

অনার্স-মাস্টার্সে নিজের পঠিত বিষয় :

যাদের শুধু টেকনিক্যাল/প্রফেশনাল তাদের তো অবশ্যই, বোথ ক্যাডারদেরও নিজের পঠিত বিষয় থেকে প্রশ্ন অবশ্যই করবে। যাদের শুধু জেনারেল, তাদেরও নিজের পঠিত বিষয় সম্পর্কে বেসিক বিষয় গুলো জেনে রাখা ভালো।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রশ্ন : অবশ্যই এই অংশ যত পারা যায় প্রিপারেশন নিয়ে যেতে হবে। যদি ভাগ্য ভালো থাকে, এই অংশ থেকে কোন প্রশ্ন নাও করতে পারে, কিন্তু যদি করে আর যদি আপনি উত্তর করতে না পারেন, তাহলে আপনি যত ভালই ভাইভা দেন না কেন– আপনার সম্পর্কে বোর্ড নেগেটিভ থাকবে। তাই এই পার্টে কোন হেলাফেলা নয় !

আর বঙ্গবন্ধু, আওয়ামীলীগ ও শেখ হাসিনা সম্পর্কিত তথ্য গুলো মগজে পিন দিয়ে গেঁথে ফেলতে হবে।

সংবিধান : খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মূল মূল ধারা এবং সংশোধনীগুলো ব্যাখ্যা সহ অবশ্যই অবশ্যই পড়তে হবে !

সাম্প্রতিক ও চলমান ইস্যু : প্রতিদিন অন্তত ২ টা পেপারের সম্পাদকীয় এবং বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক অংশটুকু চোখ বোলাতে হবে; প্রয়োজনে নোট করে রাখতে হবে– এই সম্পর্কে নানা ব্যাখ্যা ছোট করে লিখে রাখতে হবে; প্রয়োজনে গ্রুপে আলোচনা করা যেতে পারে।

গতানুগতিক বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সাধারণ জ্ঞান : এই অংশের জন্য খুব বেশি সময় নষ্ট করার প্রয়োজন নেই। ২-৩ টি প্রশ্ন করলেও করতে পারে আবার নাও করতে পারে। আপনি প্রিলি ও রিটেন দেয়ার সময় যা পড়েছেন সেগুলাই সময় পেলে একটু চোখ বুলিয়ে নেবেন।

ভাইভাতে ভালো করার সবচেয়ে ভালো পন্থা হচ্ছে–

১। কমন পড়ার আশা নিয়ে না পড়া, জাস্ট জানার জন্য পড়বেন এবং আগে থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করবেন এই ভেবে– ভাইভা বোর্ডে যা প্রশ্ন হবে সেগুলা নতুন টাইপ হবে, তবে সমস্যা নেই; এই সব প্রশ্নের বেশির ভাগই আমার জানার ভেতরেই থাকবে।

২। ভাইভা সম্পর্কে অহেতুক টেনশন না নেয়া, মনকে রিলাক্সড রাখুন।

আরও জেনে নিন – বিসিএস ভাইভার জন্য যেভাবে প্রস্তুতি নিবেন

Check More Lessons

বিসিএস ভাইভা নিয়ে কিছু পরামর্শ

ভাইভাতে ভাল করার অন্তত ১০০টি টেকনিক আছে, যেগুলির একটাও কাজ করে না। এটা মাথায় রেখে …