ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) সহযোগী অধ্যাপক খালেদ মাহমুদ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর। সাবেক স্ত্রী’র কাছে তিনি যৌতুক দাবি করেছেন। তার স্ত্রী মামলা ঠুকে দিয়েছেন। এই স্ত্রী পুলিশ কর্মকর্তা। কাজেই, তিনি ক্ষমতাধর। শ্বশুর মোখলেছুর রহমান। তিনি পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি, এবং র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক। তিনি আরো বেশী ক্ষমতাধর।
এই মাসের ১২ তারিখে স্ত্রী’র সাথে অধ্যাপক খালেদের ডিভোর্স হয়েছে। পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে, তাদের মধ্যে নাকি বনিবনা হচ্ছিলো না। ডিভোর্সের দু’সপ্তাহ পার না হতেই অধ্যাপক সাহেব পরপর দুটি মামলা খেয়েছেন। একটি যৌতুকের। অন্যটি ধর্ষণের। কাকে যেন তিনি ধর্ষণ করেছেন। ধর্ষিতার স্বামী মামলা করে দিয়েছেন। ফলশ্রুতিতে তিনি এখন জেলে। তার পিতা-ও জেলে। আর তার মা-ও নিশ্চয়ই জেলে যাবেন। ভদ্রমহিলা আপাতত পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ব্যপার না। গুষ্টিসুদ্ধু জেলে যাচ্ছে, আমাদের দেশে এরকম তো মাঝে মধ্যেই হয়।
শুনেছি, অধ্যাপক খালেদ মাহমুদ এসএসসি ও এইচএসসি- দুটি পরীক্ষাতেই ঢাকা বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ফার্স্ট হয়েছেন। দিবানিশি পরিশ্রমের পরও এরকম ফলাফল কালেভাদ্রেই মানুষের কপালে জোটে। আইবিএ থেকে এমবিএ শেষ করে ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে গেছেন। ফুলব্রাইট স্কলারশিপ সম্পর্কে অনেকেই জানেন। তবুও মনে করিয়ে দিই, এই স্কলারশিপ অর্জনকে পুরো পৃথিবীতে অত্যন্ত সম্মানের চোখে দেখা হয়। তো এই স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরো একটি এমবিএ ডিগ্রি নিয়েছেন। তাতেও সেরা ফলাফল করে গোল্ড মেডেলিস্ট হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। এরপর দেশে ফিরে আইবিএ’র শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছেন। তার কয়েকজন ছাত্রছাত্রী’র মতে, শিক্ষার্থীদের প্রতি তিনি অত্যন্ত আন্তরিক ও সহানুভূতিশীল একজন শিক্ষক।
এরকম একজন শিক্ষক স্ত্রী’র কাছে যৌতুক দাবী করবেন, শুনতে কেমন যেন শোনায় না? কিন্তু আমাদের দেশটাই এমন যে, হাজার পঞ্চাশেক টাকা খরচ করলে অত্যন্ত আগ্রহের সাথে ধর্ষণের মামলা করে দিতে পারবে, এরকম মহিলা-ও সহজে পাওয়া যায়। বিশেষতঃ আপনার শ্ত্রু যদি দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাধর মানুষদের একজন হয়, তাহলে ধরে রাখা যেতেই পারে আপনার জীবনে শান্তি বলে আর কিছু থাকবে না।
আমাদের দাবী হলো, মামলা দুটি’র নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে। যদি অধ্যাপক খালেদ দোষী হয়ে থাকেন, তাহলে প্রচলিত আইন অনুসারে তার শাস্তি হোক। দোষী হলে সাজা তো সবাই চাইবে। কিন্তু তিনি যদি নির্দোষ হন, তাহলে এর পেছনে যারা কলকাঠি নেড়েছে, তাদেরও সাজা হওয়া অবশ্যই প্রয়োজন।
প্রথমত দেশের একজন নিরীহ ও মেধাবী শিক্ষককে হয়রানি করার কারনে, এবং দ্বিতীয়ত ক্ষমতার অপব্যবহারের দৃষ্টান্ত তৈরী করার কারনে।
Justice for All…
লেখকঃআনিসুর রহমান কিরণ
👉তাহলে এতো বড় বড় ডিগ্রী নিয়ে বাংলাদেশে আসাটাই কি তাঁর ভুল সিদ্ধান্ত ছিলো না?
যেদেশে ক্লাশ ফাইভ পাশ এমপির দ্বারা দেশ চলে?
ভুল করেছেন,দেশকে ভালোবেসে সেবা করতে গিয়ে।