ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে বসার ইঙ্গিত দিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকের আজকের সভায় অনির্ধারিত এক অলোচ্যসূচিতে ড.কামাল হোসেনেরে চিঠির ইস্যু আলোচিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যার দরজার কারও জন্য বন্ধ থাকে না। ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আমরা সংলাপে বসবো। আমরাও সম্মত।’
সোমবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের পক্ষে সংলাপে নেতৃত্ব দেবেন জানিয়ে কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কারো কাছে নতিস্বীকার করে না। সংলাপের জন্য কোনো পূর্বশর্তও নেই। এ সংলাপ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেও হতে পারে। আমরা, আমাদের নেত্রী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রস্তাবে সম্মত; এর মধ্য দিয়ে আমরা সংলাপে বসার ব্যাপারে সম্মতি জানাচ্ছি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের অনুষ্ঠানের জন্য তারা ( ঐক্যফ্রন্ট) তাদের চিঠিতে কিছু বিষয় উল্লেখ করেছে, সেই সঙ্গে তারা সাত দফা দাবি এবং ১১ দফা লক্ষ্য জুড়ে দিয়েছে। তবে আমি বলতে চাই সংলাপের জন্য আমরা কোন পূর্বশর্ত জুড়ে দেব না। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে কাউকে সংলাপে ডাকিনি। ঐক্যফ্রন্টের নেতারা সংলাপ করতে চান, আমাদের নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা কারো জন্য সংলাপের দরজা বন্ধ করে দিতে চান না। আমি আমাদের নেত্রীর পক্ষ থেকে সে কথা জাতিকে জানালাম।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দলের সভাপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে ঐক্যফ্রন্ট একটি চিঠি দিয়েছে। আমাদের অফিস সেক্রেটারী দলের পক্ষে সেই চিঠি গ্রহণ করেছেন। তাদের একটি প্রতিনিধি দল চিঠি আমাদের কাছে পৌঁছেছে। চিঠিটিতে ঐক্য ফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন স্বাক্ষর করেছেন। চিঠিটি আওয়ামী লীগ সভাপতি বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে পাঠানো হয়েছে, যেটাতে গণভবনে ঠিকানা রয়েছে। চিঠির ভিতরে কি আছে সেটা ইতিমধ্যে পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে।’
রবিবার (২৮ অক্টোবর) নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে জাতীয় নির্বাচনসহ ঘোষিত ৭ দফা দাবি ও ১১টি লক্ষ্য সম্বলিত একটি চিঠি আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে পৌঁছে দেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার কাছে দেয়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে সংলাপের আহ্বান জানানো হয়।