বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার চলবে বলে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শেষ হয়েছে। এবিষয়ে আদেশের জন্য আগামীকাল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার (২৮ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
উল্লেখ্য, আগামীকাল সোমবার (২৯ অক্টোবর) কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা এই মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য রয়েছে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর পুরনো কারাগারে স্থাপিত আদালত হুইল চেয়ারে হাজির করা হয় বিএনপি প্রধানকে। এসময় বিচারককে উদ্দেশ্য করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার শারীরিক অবস্থা ভালো না। আমার পা ফুলে গেছে। বসে থাকলে আমার পা ফুলে যাবে। ডাক্তার বলেছে, পা ঝুলিয়ে রাখা যাবে না। এখানে আমি আদালতে বারবার আসতে পারবো না। আপনাদের যা মনে চায়, যতদিন ইচ্ছা সাজা দিয়ে দিন।’
পরে শুনানি শেষে আদালত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় খালেদা জিয়া সাংবাদিকদের তাঁর বাম হাত দেখিয়ে বলেন, ‘এ হাতটা ইয়ে (প্যারালাইজড) হয়ে গেছে, ডান পা বাঁকাতে পারি না। আমি খুবই অসুস্থ। ওরা (আদালত) যা খুশি তাই করুক।’
এরপর খালেদা জিয়ার আর এই আদালতে না আসলে গত ২৭ সেপ্টেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার কার্যক্রম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই চলবে বলে বিশেষ জজ আদালত যে আদেশ দেন।
এই আদেশের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন। গত ১৪ অক্টোবর রিভিশন আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করেন খালেদার আইনজীবীরা।