বর্তমান সরকারেক ‘অবৈধ’ অাখ্যায়িত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগী বলেছেন, এই সরকারের পাস করা কোনো আইন বিএনপি মানে না।
সোমবার(৭ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলের হলরুমে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ পাসের প্রতিক্রিয়ায় ফখরুল বলেন, এই সরকারের কোনো আইন আমরা মানি না। কারণ তারা অবৈধ সরকার। সংসদে আইন পাস করার কোনো বৈধতা তাদের নেই। তারা একটি প্রতারক সরকার৷
ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী বোধ হয় কালো হরিণ চোখ দেখতে পেয়েছেন। অত্যন্ত দুঃখের, হতাশার,ক্ষোভের কথা। আমরা যে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছি, যে স্বপ্ন দেখেছি, এই সরকার তা ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। এই দলটি একটার পর পর কালো আইন চাপিয়ে দিয়েছে।
সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন,আপনাদের এখনো সময় আছে। শেষ সময় হয়নি এখনো। উপলব্ধি করার সময় আছে। যিনি আপনাদের রক্ষাকর্তা, সেই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। একমাত্র তিনি আপনাদের মুক্তি দিতে পারবেন। তাকে মুক্ত করুন, আলোচনা করুন। কিভাবে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে তা নিয়ে আলোচনা করুন।
তিনি বলেন, ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। জনগণকে জিম্মি করে কিছুদিনের জন্য ক্ষমতায় থাকা যায়। চিরদিনের জন্য নয়৷
ফখরুল বলেন, আমি সব সময় বলি, আশা ছেড়ো না। আমরা সংগ্রাম চালিয়ে যাবো। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে নিতে, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে আমরা সংগ্রাম চালিয়ে যাবো। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
বিএনপি আয়োজিত সভায় অংশ নেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান,আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী,ভাইস-চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান,হাবিবুর রহমান হাবিব,আতাউর রহমান ঢালী,যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল,খায়রুল কবির খোকন,সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন,রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু,শ্যামা ওবায়েদ,প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ,সাংবাদিক নেতা কাদের গনি চৌধুরীসহ বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ,গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও কূটনৈতিকরা।
উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলে সোমবার (৮ অক্টোবর) স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। ফলে বিলটি আইনে পরিণত হয়েছে।